পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত রিট খারিজ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং প্রতিবাদে জনবিক্ষোভে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনায় ক্ষতিপুরণ চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হয়েছেন আদালত। ওই ঘটনায় পুলিশের করা দুটি তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রোববার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
গত ৫ ডিসেম্বর ওই তদন্ত প্রতিবেদন দুটি পুলিশ সদর দফতরে জমা দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) ৭ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কালিহাতী উপজেলা সদরে বিক্ষুব্ধ জনতা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রিট করেন অ্যাডভোকেট সালমা আলী। এ রিটের শুনানি করে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনার সব তদন্ত প্রতিবেদন ৬০ দিনের আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পুলিশ ঘটনাস্থলে আইন মেনে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করেছে কিনা তা জানতে চান আদালত। ওই ঘটনায় পুলিশ দুটি তদন্ত কমিটি করে। গত ৫ ডিসেম্বর ওই তদন্ত প্রতিবেদন দুটি পুলিশ সদর দফতরে জমা দেওয়া হয়।
আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার আদালতে ওই তদন্ত কমিটি দুটির প্রতিবেদন জমা দেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু।
এফএইচ/এএইচ/এমএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড নিয়ে রুল
- ২ রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক শওকত মাহমুদ
- ৩ হাদির মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বর হারালো: প্রধান বিচারপতি
- ৪ নিউমুরিং টার্মিনাল নিয়ে রিট নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ
- ৫ নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার চাইলেন ৩ সেনা কর্মকর্তা