সাক্ষ্য দিলেন ক্যাথরিন মাসুদ
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলায় প্রথম দিনের শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ক্যাথরিন মাসুদ।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন ড. কামাল হোসেন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে আছেন ইমরান এ সিদ্দিক।
ওই ঘটনায় নিহত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ মোট ৭ কোটি ৭৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে তিনি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে স্থানান্তর করে বিচারিক আদালতে মামলার বিচারের দাবি জানান। সরকার, বাসের মালিক এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে এ মামলার বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীর। তারেক ও মিশুককে বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ ঘটে। তাতে তারেক-মিশুকসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহীর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। দেড় বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিনেন্সে ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুটি মামলা করেন।
এরপর সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে জনস্বার্থে হাইকোর্টে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ এবং মিশুক মুনীরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও ছেলে সুহৃদ মুনীর ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্টে আলাদা দুটি আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
রুলে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদের অনুসারে মামলা দুটি কেন হাইকোর্টে বদলি করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে মামলা দুটির নথিপত্র তলব করেন আদালত। রুলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর দুই আবেদনের উপর একসঙ্গে রায় দেন আদালত।
বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোতাহার হোসেন বলেন, হাইকোর্ট এ মর্মে সন্তুষ্ট হয়েছেন যে, ক্ষতিপূরণের মামলা দুটি অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ ও এতে মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ ও এর বিধিমালা ও সংবিধানের ব্যাখ্যার প্রশ্ন জড়িত। মামলা দুটিতে টর্ট আইনের প্রয়োগ ও সে সংক্রান্ত ব্যাখ্যা জড়িত থাকায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলা দুটি বদলি পূর্বক হাইকোর্টে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
এফএইচ/এসকেডি/এবিএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড নিয়ে রুল
- ২ রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক শওকত মাহমুদ
- ৩ হাদির মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বর হারালো: প্রধান বিচারপতি
- ৪ নিউমুরিং টার্মিনাল নিয়ে রিট নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ
- ৫ নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার চাইলেন ৩ সেনা কর্মকর্তা