ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা

৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ২৭ আগস্ট ২০২৩

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক (নিম্ন) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (২৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

গত ১৯ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। তার পরে রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে আপিল আবেদন করেন। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ মামলায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তবে এর মধ্যে এক আসামি মারা গেছেন। এখন মামলার আসামি ১৩ জন। তার মধ্যে ৬ জন জামিনে। আর সর্বশেষ ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর মামলায় কোন সাক্ষী আসেননি। তাই সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছে না।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে এই হত্যায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামির নাম উল্লেখ রয়েছেন।

এফএইচ/বিএ/জেএইচ/জেআইএম