ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

অধ্যক্ষ মিজানুরের বেতন-ভাতা নিয়ে আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের বকেয়া বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধ না করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত মিজানুরের বকেয়া বেতন-ভাতা ও বোনাস বাবদ পাওনা ১২ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বরাবর করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, রাজবাড়ী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মিয়া।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত রাজবাড়ী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের বকেয়া বেতন, ভাতা ও বোনাস বাবদ পাওনা বাবদ মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ টাকা পরিশোধের দাবিতে তিনি গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট (রিট পিটিশন নম্বর: ১৫০১৫/২০২৩) আবেদন করেন।

আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, রাজবাড়ী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান প্রথমে ২০১৯ সালের ২ নভেম্বর এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই গভর্নিং বডি কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত হন। ওই বরখাস্তের আদেশ গত ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর রাজশাহীর আপিল ও আরবিট্রেশন কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়। পরবর্তী সময়ে মিজানুর ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করলে ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত। ওই আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল ছিল।

তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বকেয়া বেতন, ভাতা, বোনাস চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা হলেও অধ্যক্ষ মিজানুরের ব্যক্তিগত হিসাবে জমা হয়নি।

এ বিষয়ে গত ২ নভেম্বর মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত বকেয়া বেতন, ভাতা, বোনাস বাবদ মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ টাকা তার ব্যক্তিগত হিসাবে জমা করার জন্য নাচোলের সোনালী ব্যাংক বরাবরে আবেদন করেন। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বকেয়া বেতন, ভাতা, বোনাসের টাকা মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত হিসাবে জমা করেনি। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।

এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম