ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ঈদ কেনাকাটা

যমুনা ফিউচার পার্ক: এ যেন এক গোলকধাঁধা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৫

ঘনিয়ে এসে ঈদ। তাইতো শেষ সময়ে কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন শপিংমলে ভিড় করেছেন ক্রেতারা। রাজধানীতে অবস্থিত বড় বড় শপিংমলের মধ্যে অন্যতম যমুনা ফিউচার পার্ক। ২০১৩ সালে চালু হওয়া ৪১০০০০০ বর্গফুটের এই শপিংমলে রয়েছে সব ধরণের পণ্য। এমনকি এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিং মল হিসাবে পরিচিত।

বিশাল এই শপিংমলে রয়েছে দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ডের শোরুম। সব পণ্য একসাথে পাওয়া যায় বলে ভোগান্তি কমাতে অনেকেই চলে আসেন এখানে। শুধু রাজধানীবাসীই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্রেতারা। এক শোরুম থেকে আরেক শোরুম ঘুরে কিনছেন পছন্দের পোশাক। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল এই শপিংমলে ভিড় থাকলেও রোজা রেখে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

যমুনা ফিউচার পার্ক: এ যেন এক গোলকধাঁধা

এছাড়া এক জায়গায় পোশাক ছাড়াও গয়না, কসমেটিকস, ক্রোকারিজ, জুতা, পারফিউমসহ সব ধরনের পণ্য থাকায় ঈদ ঘিরে যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদের কেনাকাটা বেশ জমজমাট।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এই শপিংমলে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে পোশাকের দোকানগুলোতে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন অনেকে। এক শোরুম থেকে আরেক শোরুম ঘুরে কিনছেন হাল ফ্যাশনের পোশাক। বিশেষ করে ব্র্যান্ডের বিভিন্ন শোরুমে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

প্রিয়জনের জন্য উপহার কিনতে এসেছেন জাহিদ নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, ঢাকায় একটা কাজে এসেছি। শুনেছি এখানে নতুন নতুন ডিজাইনের সব পোশাক পাওয়া যায়। তাই ভাবলাম যেহেতু এসেছি পরিবারের জন্য কেনাকাটা করে ফেলি। এক সাথে দুটো কাজই হয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

যমুনা ফিউচার পার্ক: এ যেন এক গোলকধাঁধা

যমুনা ফিউচার পার্কে থাকা ইনফিনিটি, কে-ক্র্যাফট, অঞ্জন’স, আড়ং, জিন্স অ্যান্ড কোম্পানি, টুয়েলভ, রেড, জেন্টল পার্ক, টিন’স ক্লাব, প্লাস পয়েন্ট, কান্ট্রি বয়, রেঞ্জ, লা রিভ, আর্টিসান, টপ টেন পোশাকের ব্র্যান্ড ও শপগুলোয় প্রচুর ক্রেতাসমাগম দেখা যায়। সবাই যার যার পছন্দের পণ্য কিনতেই ভিড় করেছেন পছন্দের শপে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আর বেশি সময় বাকি নেই। দুয়েকদিন পরই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাবেন অনেকে। তাই এখন ভিড় বেড়েছে। প্রথমদিকে ক্রেতা তুলনামূলক কম থাকলেও এখন বেড়েছে। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। তবে অন্য দিনের চেয়ে ছুটির দিন ভিড় অনেক বেশি হয়।

বিজ্ঞাপন

মাহিন নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণত ইফতারের আগেই ব্যস্ততা বাড়ে বেচাকেনায়। সন্ধ্যায় অনেকে শপিংমলের ফুডকোর্টে ইফতার সেরে আবার কেনাকাটায় মেতে ওঠেন। ইফতারের পর ফের ক্রেতার ঢল নামে। অনেক রাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা।

যমুনা ফিউচার পার্ক: এ যেন এক গোলকধাঁধা

আনিকা নামের এক তরুণী শপিং করে এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো মজার এক গল্প। আনিকা বলেন, আমার শপিং শেষ। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের জন্য উপহার নিয়েছি। এখন বের হওয়ার রাস্তা খোঁজে পাচ্ছি না। এই শপিংমল এত বড় যে ভেতরে আসলে বের হওয়ার রাস্তা খোঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। মনে হয় এটা একটা গোলকধাঁধা। কোনো কূল কিনারা পাই না।

বিজ্ঞাপন

ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় শপিংমলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এ বিষয়ে শপিংমলটির জেনারেল ম্যানেজার (মল অপারেশন) এস এম নূর-ই সাইফুল্লাহ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের এখানে ২৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আবার তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কি না সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের ১০ জনের বিশেষ টিম রয়েছে, যারা কন্ট্রোল রুম থেকে তত্ত্বাবধান করছেন। প্রায় ১২০০ সিসি ক্যামেরা রয়েছে পুরো শপিংমলে। এছাড়া যে কোনো চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ইত্যাদি রোধ করতে আমাদের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন শপিংমলের পাশাপাশি যমুনা ফিউচার পার্ক বিনোদনের একটি জায়গাও বটে। তাই শপিংমলের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে পারি না। আমাদের এখানে দুইটি দেশের দূতাবাস (ভিসা সেন্টার) রয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কীভাবে সাধারণ জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া যায়।

যমুনা ফিউচার পার্ক: এ যেন এক গোলকধাঁধা

বিজ্ঞাপন

এদিকে যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদ কেনাকাটায় আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে যমুনা গ্রুপ। ঈদ ঘিরে যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা করে কোটি টাকার উপহার জেতার সুযোগ রয়েছে। এ অফারের আওতায় শপিংমলের যে কোনো শোরুম থেকে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকার কেনাকাটা করলেই থাকছে টিভি, ফ্রিজ, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্যসহ নানান ধরনের আকর্ষণীয় উপহার জেতার সুযোগ। চাঁদরাত পর্যন্ত চলবে ক্যাম্পেইন।

ক্রেতারা যেন সহজে উপহার পেতে পারেন, সেজন্য শপিংমলের সেন্টার কোর্টে গিফটের পৃথক বুথ করা হয়েছে। পণ্য ক্রয়ের রসিদ নিয়ে সেখানে থাকা কিউআর কোড দিয়ে তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা উপহার জিতলে বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন। এতে ক্রেতাদের ঈদ আনন্দে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।

জেএস/এএসএম

বিজ্ঞাপন

পরবর্তী খবর

রমজানে ঘুমের সমস্যা কমাতে পারে যেসব খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ২০ মার্চ ২০২৫

রমজানে অনেকের ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। চোখ বন্ধ করে পরে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, কিন্তু ঘুম আর হয় না। অনিদ্রার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। রমজানেও অনেকের এই সমস্যা দেখা দেয়।

ঘুমের সমস্যা দূর করতে স্বাস্থ্য কর জীবনযাপন ও খাবার আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ঘুমের এমন সমস্যা কিন্তু শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবের জন্যও হতে পারে।

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক বা ১৯-৫১ বছর বয়সি পুরুষদের দিনে ৪০০ থেকে ৪২০ গ্রাম পর্যন্ত ম্যাগনেসিয়ামের দরকার হয়। একই বয়সের নারীদের প্রয়োজন হয় ৩১০-৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে অবশ্য ওই পরিমাণ সামান্য বেশি। তাদের দৈনিক ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা থাকে ৩৫০-৩৬০ মিলিগ্রাম। এই ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণ হতে পারে চেনা কিছু খাবার খেলেই।

জেনে নিন ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা মেটাতে কী কী খাবার খেতে পারেন-

কাঠবাদাম
কাঠবাদামে আছে স্বাস্থ্যকর স্নেহ পদার্থ এবং ম্যাগনেসিয়াম। যা শরীরকে বিশ্রাম করতে সাহায্য করে। ১ আউন্স বা ২৮ গ্রাম কাঠবাদামে রয়েছে ৮০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম।

পালং শাক
পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনিসিয়াম। এক কাপ রান্না করা পালংশাকে ১৫৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ
প্রতি ২৮ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ১৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। যা ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে।

কলা
কলায় ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম-দুই-ই রয়েছে। একটি মাঝারি মাপের কলা খেলে তা থেকে ৩২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।

চিয়া বীজ
চিয়া বীজকে বলা হয় সুপারফুড। তাতেও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। ২৮ গ্রাম চিয়াবীজে রয়েছে ১১১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম।

কেএসকে/এএসএম

পরবর্তী খবর

আজ সুখে থাকার দিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:২০ এএম, ২০ মার্চ ২০২৫

আজ ২০ মার্চ। আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। মানুষকে সহজ, দৈনন্দিন সুখের অভ্যাস অনুশীলন করতে উৎসাহিত করে বিশ্বকে একটি মানবিক এবং সুখী জায়গা করে তোলাই এ দিবসের লক্ষ্য। অন্যরকম এ দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা জাতিসংঘের উপদেষ্টা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা অর্থনীতিবিদদের প্রতিনিধি জেম এলিয়েন। ২০১১ সালে জাতিসংঘে সুখ দিবসের ধারণাটি উপস্থাপন করেন এলিয়েন।

তবে এই দিবস প্রচলনের প্রচার শুরু হয় ভুটানের হাত ধরে। দেশটিতে এরই মধ্যে সুখ-সূচকের ভিত্তিতে জাতীয় সমৃদ্ধির পরিমাপের প্রচলন করা হয়েছে। তারা জাতিসংঘের কাছে বছরের একটি দিন সুখ দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানায়। মূলত এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধিবেশনে জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা দিবসটিকে স্বীকৃতি দেন। দিবসটি প্রথম ২০১৩ সালে পালিত হয়।

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবে বলা হয়, ‘মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য সুখে থাকা। ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিতে দিবসটি পালন করা হবে। সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর পূর্ণ এক বছর জরিপ পরিচালনা করে এই দিবসে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে থাকে জাতিসংঘ।’

‘অ্যাকশন ফর হ্যাপিনেস’, ‘হ্যাপিনেসডে ডট ওআরজি’ এবং ‘জাতিসংঘ’সহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উদযাপন ও আয়োজন করা হয়। আন্তর্জাতিক সুখ দিবস মানুষকে এই বিষয়টি বিবেচনা করতে উৎসাহিত করে যে, সুখ খোঁজার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার মধ্যে অন্যদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক, মানসিক সুস্বাস্থ্য এবং আত্মতৃপ্তির বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।

‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪’-এর হিসাব অনুযায়ী সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, ইসরাইল, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।

জেএস/এএসএম

পরবর্তী খবর

রেশমি জিলাপি তৈরি করুন ঘরেই

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৫

ইফতারিতে একটি জনপ্রিয় আইটেম হচ্ছে জিলাপি। বিশেষ করে রেশমি জিপালি সবাই খেতে পছন্দ করেন। ছোলা-মুড়ি মাখাতে জিলাপি এক আলাদা স্বাদ এনে দেয়। তবে বাজারের নামি দামি রেস্তোরাঁয় এই রেশমি জিপালি বিক্রি হয় হাজার টাকা কেজিতে।

চাইলে একটু সময় করে বাড়িতেই একেবারে দোকানের মতো রেশমি জিলাপি তৈরি করে নিতে পারবেন। অল্প উপকরণে কীভাবে রেশমি জিলাপি তৈরি করবেন আসুন রেসিপি জেনে নেওয়া যাক-

উপকরণ
১. ১ কাপ ময়দা
২. ২ টেবিল চামচ টক দই
৩. ৪-৬ টেবিল চামচ পানি
৪. ১ চা চামচ বেকিং পাউডার
৫. সামান্য জর্দার রং
৬. ভাজার জন্য তেল
৭. সিরার জন্য ২ কাপ চিনি
৮. ১টি এলাচ
৯. সামান্য ঘি

পদ্ধতি
জিলাপি তৈরির আগে প্রথমেই সিরা তৈরি করে নিন। এজন্য একটি পরিষ্কার হাঁড়িতে পানি ও চিনি মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে। এবার তাতে এলাচ দিয়ে দিন। মেশান কয়েক ফোঁটা ঘি। সিরা ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন।

জিলাপি তৈরির জন্য শুকনো ময়দার সঙ্গে বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন। এবার দই ভালোভাবে ফেটিয়ে ময়দার মিশ্রণে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণে অল্প অল্প করে পানি মেশাতে থাকুন। ব্যাটার খুব বেশি পাতলা বা ঘন হবে না। এবার শক্ত কোনো প্যাকেটের কোণা কেটে কিংবা পানির বোতলের মুখ ছিদ্র করে তাতে ব্যাটার ভরে নিন।

কড়াইয়ে তেল গরম হতে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন উত্তপ্ত গরম হয়ে না যায়। তাহলে জিলাপি তৈরির আগেই পুড়ে যাবে। এবার গরম তেলে জিলাপির প্যাঁচ দিয়ে ছাড়ুন। দুই পিঠ ভালোভাবে ভেজে তুলুন। জিলাপিগুলো হালকা গরম থাকা অবস্থায় সিরায় ৩-৪ মিনিট ভিজিয়ে তুলে নিন। এবার পরিবেশনের জন্য তৈরি সুস্বাদু রেশমি জিলাপি।

আরও পড়ুন

কেএসকে/এমএস

পরবর্তী খবর

রোজায় পেটের সমস্যা কমাতে করতে পারেন যোগাসন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ১৯ মার্চ ২০২৫

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা, শক্তির ঘাটতি ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। রোজায় আরও যে সমস্যাটি প্রায় সবার দেখা দেয় তা হচ্ছে পেটের সমস্যা।

রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে অনেকেরই হজমজনিত সমস্যা হয়। বিশেষ করে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যাগুলো শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং রোজা পালন কঠিন করে তুলতে পারে।

এই সমস্যা কমাতে যোগাসন করতে পারেন। খুব বেশি পরিশ্রম ছাড়াই যোগাসন করতে পারবেন যে কোনো সময়। যোগাসনের একটি অত্যন্ত কার্যকরী আসন হল কুক্কুটাসন। ‘কুক্কুট’ অর্থাৎ মোরগ থেকে কথাটি এসেছে। এই আসনের ভঙ্গি অনেকটা মোরগের মতো। তাই এমন নামকরণ।

এই আসন নিয়মিত করলে, হাত, কাঁধ ও পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হজমশক্তি ভালো হবে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমবে।কুক্কুটাসন নিয়মিত করতে পারলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও কমবে। পেট ও কোমরের পেশি শক্তপোক্ত হবে এই আসনে। পেটের মেদ কমবে। ঘুমের সমস্যা থাকলে তা দূর হবে। অনিদ্রা দূর করতেও এই আসন কার্যকরী হতে পারে।

তবে যদি আপনার হার্টের সমস্যা থাকে বা হার্টে অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করা যাবে না। উচ্চ রক্তচাপ যাদের আছে তাদের এই আসন না করাই ভালো। হার্নিয়া বা গ্যাস্ট্রিক আলসার আছে যাদের, তারা একেবারেই এই আসন করবেন না। হাঁটুর ব্যথা, হাঁটুতে আঘাত লাগলে বা অস্ত্রোপচার হলে কুক্কুটাসন করা যাবে না।

কীভাবে করবেন?
প্রথমে পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসতে হবে। তারপর দুই হাত হাঁটু ও ঊরুর মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করিয়ে তালু মাটিতে রাখুন। এবার হাতের উপর ভর করে শরীর তুলতে হবে। ওই ভাবে ১০-১৫ সেকেন্ড রেখে ধীরে ধীরে শরীর নামিয়ে আনুন। আসনের সময়ে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।

কেএসকে/জেআইএম

পরবর্তী খবর

জমকালো নাকি সাদামাটা, কেমন পোশাক পরবেন ঈদে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৫

ঈদের দিন সকালেই নতুন জামাটা ঘেমে-নেয়ে গেলে কার না রাগ হবে! তাই এবারের ঈদে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে নতুন পোশাক কিনতে ভুলবেন না। শুধু গরমই নয়, আরও বেশ কিছু বিষয় খেয়াল করা প্রয়োজন। জেনে নিন এবারের ঈদে কী ধরনের পোশাক পরলে আপনি স্বস্তিতে স্টাইলিশ থাকতে পারেন।

আবহাওয়ার কথা মাথায় রাখুন

বৈশাখ মাস শুরু না হলেও রোদের তেজ কিন্তু এখন থেকেই সাবধান হওয়ার মতো। এদিকে ভোজনরসিক বাঙালির ঈদের দিনের অনেকটা সময় দিতে হয় রান্নাঘরে আগুনের পাশে। গরমের সঙ্গে সেখানে আগুন থেকে নিরাপদ থাকার কথাও ভাবতে হয়। ফলে তাপ থেকে বাঁচতে হালকা এবং আরামদায়ক কাপড় বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সুতি, লিনেন ও তাঁতের কাপড় এই সময়ের জন্য আদর্শ। এগুলো ঘাম শোষণ করে এবং শরীরে বাতাস চলাচল করতে দেয়, যা গরমে আপনাকে স্বস্তি দেবে।

অন্যদিকে এমন ঈদের সকালের জন্য এমন কাপড় নির্বাচন করবেন যেগুলো পরে নিরাপদে চুলার পাশে যাওয়া যায়। ‍সিল্ক, মসলিন ও জর্জেটজাতীয় কাপড় এড়িয়ে চলুন। এগুলোতে সহজেই অনেক দূর থেকে আগুন লেগে যেতে পারে।

স্টাইলিশ থাকতে যেমন পোশাক কিনবেন

১. নারীর শখের ঈদ পোশাক

শাড়ি: হালকা রঙের সুতি শাড়ি যেমন টাঙ্গাইল, ব্লক প্রিন্ট বা বাটিক শাড়ি হতে পারে ঈদের সকালে আপনার প্রথম পছন্দ। বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার জন্য পাতলা জর্জেট বা সাটিনের শাড়িও গরমে আরামদায়ক এবং ট্রেন্ডি। ডিজাইনে রাখুন মিনিমালিস্টিক এমব্রয়ডারি বা জরির কাজ, যা ঈদের আমেজ ধরে রাখবে।

সালোয়ার-কামিজ: কম কাজের হালকা রঙের সালোয়ার-কামিজ গরমে পরতে বেশ আরামদায়ক। এমব্রয়ডারি বা প্রিন্টেড কামিজের সঙ্গে ম্যাচিং ওড়না নিতে পারেন। ঢিলেঢালা ডিজাইনের কামিজ গরমে বেশি স্বস্তি দেবে। অনেক নারীই এ ঈদে পাকিস্তানি স্টাইলের কুর্তি পছন্দ করেন।

২. পুরুষরা যা পরবেন

পাঞ্জাবি: ঈদের নামাজে একটা ভাঁজভাঙা পাঞ্জাবি না পরলে কি ঈদ জমে! তবে জমকালো পাঞ্জাবি কিনলে ঈদগাহ্ থেকে ফেরার আগেই অস্থির হয়ে পড়তে পারেন। তাই সুতি বা লিনেনের পাঞ্জাবি গরমে পরার জন্য আদর্শ। হালকা রঙ যেমন সাদা, হালকা নীল, বেজ বা পেস্টেল শেড বেছে নিন। আবার এমব্রয়ডারি বা প্রিন্টেড ডিজাইনের পাঞ্জাবিও ঈদের দিন আপনাকে স্মার্ট লুক দিতে পারে।

শার্ট, ফতুয়া, টি-শার্ট: ঈদের নামাজ তো হলো, এবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো আর আত্মীয়দের বাসায় যাওয়ার পালা। কিন্তু অনেকেই এ সময় সকালের পোশাকটা পাল্টাতে চান। বাসায় বিশ্রাম ও আশেপাশে ঘুরতে যাওয়ার জন্য হাফ স্লিভ সুতি শার্ট এবং হালকা ফতুয়া হতে পারে আপনার স্বস্তির উপায়। লিনেনের শার্টও গরমে বেশ আরামদায়ক। সুতি বা মসলিনের ফতুয়া গরমে পরলে অস্বস্তি হবে না। এক্ষেত্রে হালকা রঙ এবং মিনিমাল ডিজাইনের ফতুয়া বেছে নিতে পারেন।

গরমের দিনে হালকা রঙের পোশাক পরাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। সাদা, হালকা নীল, পেস্টেল পিংক, মিন্ট গ্রিন, বেজ বা হালকা হলুদ রঙের পোশাক গরমে আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল। এছাড়া ঘামের দাগ যেন স্পষ্ট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। গাঢ় রঙের পোশাক গরমে অস্বস্তি বাড়াতে পারে, তাই সেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

ঈদে সারাদিন ঘোরাঘুরি এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে আনন্দে দিন চলে যায়। তবে নিজে স্বস্তিতে না থাকলে এই আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন না। তাই পোশাক নির্বাচনের সময় কমফোর্টকে প্রাধান্য দিন। পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ঈদুল ফিতর হলো আনন্দ এবং উৎসবের দিন। এই দিনে আপনার পোশাক যেন হয় স্বস্তিদায়ক এবং ফ্যাশনেবল। তবে মনে রাখবেন, ঈদের দিন আপনার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গে মিলনের আনন্দটাই আসল, পোশাক হলো তারই একটি অংশ।

এএমপি/এএসএম