হ্যামবার্গার কোথা থেকে আমেরিকায় এলো
বার্গার আজ আমাদের কাছে খুবই পরিচিত খাবার। রাস্তার ফাস্ট ফুড দোকান থেকে শুরু করে বড় রেস্টুরেন্ট— সবখানেই পাওয়া যায়। যদিও আমরা হ্যামবার্গারকে আধুনিক আমেরিকান খাবার হিসেবে চিনি, আসলে মাংসের কিমা রুটির মধ্যে চাপা দিয়ে খাওয়ার ধারণা বহু পুরোনো।
প্রাচীন মঙ্গল ও তাতার সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে ঘোড়ার পিঠে মাংস রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চড়ে বেড়াত। এতে মাংস নরম হয়ে যেত এবং সহজে খাওয়া যেত। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, এখান থেকেই কিমা মাংস খাওয়ার প্রথা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে। আজ (২১ আগস্ট) বার্গার দিবসে জেনে নিন এর উৎপত্তির গল্প ও চটপট বার্গার বানিয়ে নেওয়ার একটি রেসিপি-
হ্যামবার্গ থেকে হ্যামবার্গার
হ্যামবার্গার নামটির উৎস আসলে আমেরিকা না। এই নামটি মূলত এসেছে জার্মানির হ্যামবার্গ শহরের নাম থেকে। উনিশ শতকে সেখানে জনপ্রিয় ছিল হ্যামবার্গ স্টেক বা মসলা মাখানো মাংসের কিমাজাতীয় একটি পদ।

জার্মান অভিবাসীরা যখন আমেরিকায় গিয়ে বসতি গড়েন, তখন সঙ্গে নিয়ে যান এই খাবার। পরে আমেরিকায় এসে এই হ্যামবার্গ স্টেক তারা রুটির মধ্যে পরিবেশন করতে শুরু করেন। আর এভাবেই জন্ম নেয় আজকের পরিচিত হ্যামবার্গার।
ফাস্ট ফুড বিপ্লব
২০শ শতকের শুরুতে বার্গারকে জনমানসে ছড়িয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে মার্কিন ফাস্ট ফুড চেইন। ১৯২১ সালে হোয়াইট ক্যাসেল প্রথম সস্তা ও দ্রুত পরিবেশনযোগ্য বার্গার বিক্রি শুরু করে। এরপর ১৯৪০-এর দশকে ম্যাকডোনাল্ডস শুরু করে তাদের ফাস্ট ফুড ব্যবসা। সেখান থেকে বার্গার দ্রুত আমেরিকার প্রতীকী খাবারে পরিণত হয় এবং ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
সহজ বার্গার রেসিপি
উপকরণ
১. গরু বা মুরগির কিমা মাংস ২০০ গ্রাম
২. পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ
৩. রসুন কুচি ১ চা-চামচ
৪. লবণ ও গোলমরিচ পরিমাণমতো
৫. তেল সামান্য
৬. বার্গার বান ২টি
৭. টমেটো, লেটুস, শসা
৮. চিজ স্লাইস
৯. সস বা কেচাপ
১০. মেয়োনিজ
প্রস্তুত প্রণালি
কিমা মাংসের সঙ্গে পেঁয়াজ, রসুন, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে প্যাটির আকার দিন। তেল গরম করে প্যাটিগুলো দুই দিক ভালোভাবে ভেজে নিন বা গ্রিল করুন।
এবার বার্গার বানের ভেতরে লেটুস, টমেটো, শসা দিন। তার ওপর মাংসের প্যাটি রাখুন। চিজ স্লাইস দিয়ে উপরে ঢাকুন এবং পছন্দমতো কেচাপ বা মেয়োনিজ দিন। ব্যস! হয়ে গেল। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।
সূত্র: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন, হ্যামবার্গ সিটি হিস্টোরিক্যাল আর্কাইভ
এএমপি/জেআইএম