ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

প্রতিদিন ১৫ মিনিটের যে ব্যায়ামে মিলবে সুস্থতা

শেখ আনোয়ার | প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ১৩ মে ২০২৩

যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততায় অনেকেই শরীরের দিকে খেয়াল রাখার সুযোগ পান না। তবে একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, সুস্বাস্থ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে।

একদিনে ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৪৪০ মিনিট। এই সময় থেকে প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট সময় বের করা বোধ হয় কারও জন্যই খুব কষ্টকর নয়। তাই জেনে নিন মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যায়ামে সারাদিন সুস্থ থাকার কৌশল-

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করা সত্যিই কি হার্টের জন্য বিপজ্জনক?

উপুর হয়ে শুয়ে দু’হাতে ভর দিয়ে শরীর উপরের দিকে তুলুন। খেয়াল রাখবেন পা, কোমর ও পিঠ যেন সোজা থাকে। ১-১০ পর্যন্ত গুনুন। আস্তে আস্তে স্বাভাবিকে আসুন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এবার ডান পা মেঝে থেকে ১ ফুট ওপরে ওঠান ও আগের মতো শরীর তুলুন। একইভাবে বাঁ দিকে করুন। পা ক্রস করে দাঁড়িয়ে দু’হাতে ডাম্বল নিন।

হাত দুটো ঝুলিয়ে রেখেই কাঁধ ও পেটের মাংশপেশী ভেতর দিকে টেনে নিন। এরপর ডাম্বেল দুটোকে কনুই ভাঁজ করে আস্তে আস্তে বুক পর্যন্ত তুলুন। ১-১৫ পর্যন্ত গুনে নামিয়ে আনুন। চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাজ করুন। মাথার তলায় হাত দিয়ে আস্তে আস্তে শরীর উপরে তুলুন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: গরমে কেন বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা? কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন

তবে চিবুক যেন বুকে না ঠেকে যায়। ১-১০ গুনে স্বাভাবিক হোন। কোমরে দু’হাত রেখে পা ফাঁক করে দাঁড়ান। পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে শরীর উপরে তুলুন। আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলুন। এভাবে ১০ বার করুন।

এবার পা ফাঁক করে কোমরে হাত রেখে দাঁড়ান। বাঁম পা সোজা রেখে ডান হাঁটু ভাজ করে আধবসা অবস্থায় বসুন। তবে হাটু ও পায়ের পাতা যেন এক সমান্তরাল রেখায় থাকে। একইভাবে বিপরীত দিকে করুন। চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। মাথার পিছনে দু’হাত রেখে কাঁধ থেকে শরীরকে আস্তে আস্তে তুলুন।

বিজ্ঞাপন

এরপর পা দু’টো ভাজ করে সাইকেল চালানোর ভঙ্গিতে উপরে তুলুন। একইভাবে বামদিকে করুন। এরপর জগিং করুন ৫ মিনিট। এবার পা ফাঁক করে দাঁড়ান।

আরও পড়ুন: ‘দুশ্চিন্তা’য় কমবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক: গবেষণা

বাঁ দিকে নাভির সমান্তরালে বা পা তুলুন। একইভাবে ডানদিকে করুন। উভয়দিকে ১০ বার করে করবেন। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে মার্চ করুন।

বিজ্ঞাপন

মনে রাখবেন, প্রতিদিন এভাবে ব্যায়ামের আগে ২ মিনিট ওয়ার্ম আপ করবেন। জগিং অথবা চটপট পায়চারি করতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলোর শেষে অবশ্যই স্ট্রেচিং করবেন। শরীরের প্রতিটি পেশী ৩০ সেকেন্ড স্ট্রেচিং করে রিল্যাক্স করবেন।

তবে ডাম্বেল ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কখনো তাড়াহুড়া করবেন না। যদিও সময় ১৫ মিনিট, তারপরও প্রচুর পানি পান করুন। না হলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন ১৫ মিনিটের ব্যায়ামের চার্জে সারাদিন সতেজ সুস্থ থাকুন।

জেএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

পরবর্তী খবর

হার্ট ফেইলিওর ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১৩ মে ২০২৩

বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। ৩০ পার হতেই কিংবা অল্পবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে হার্টের নানা সমস্যা। তবে হার্ট ফেইলিওর ও হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই।

এ দুটোকে এক ভেবে নেন অনেকেই। আসলে হার্ট যখন নিজের থেকে রক্ত সঞ্চালন বা পাম্প করার ক্ষমতা হারায় সেই অবস্থাকেই আমরা সাধারণ ভাবে হার্ট ফেইলিওর বলতে পারি।

আরও পড়ুন: স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম ২ কারণ জানালো গবেষণা

হার্ট ফেইলিওয়রের আরেকটি ধরন হলো, যখন হৃদপিণ্ডের পেশি শক্ত হয়ে যায় ও শিথিল করতে অক্ষম হয়। অন্যদিকে হার্ট অ্যাটাক হয় যখন হার্টে রক্ত সরবরাহে বাঁধা থাকে।

এ বিষয়ে ভারতের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জামশেদ দালাল জানিয়েছেন, বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই হৃদরোগ সম্পর্কে কোনো সঠিক ধারণা নেই। অনেকের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কিংবা হার্ট ফেইলিওর নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা আছে।

হার্ট ফেইলিওর কি শুধু বয়স্কদের হয়?

এ বিষয়ে ডা. জামশেদ জানান, আগে ৫৫ পেরোনোর পরই হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি থাকত। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।

আরও পড়ুন: এই গরমে হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে যা করবেন

অনেকেই হয়তো জানেন না, হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি আগে থেকেই কিছুটা টের পাওয়া যায়। প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে থাকে শ্বাসকষ্ট, গোড়ালি ও পেট ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি ও খিদে কমে যাওয়া।

হার্ট ফেইলিওর মানেই কিন্তু জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়, প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে রোগী সুস্থ হতে পারেন। তবে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়লে হার্ট ট্রান্সপ্লান্টেশন ছাড়া উপায় নেই বলে জানান চিকিৎসক জামশেদ।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কী কী?

হার্ট অ্যাটাকের আগে একেকজনের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। তবে সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হলো হাঁটতে গিয়ে বুকে চাপ। অনেকেই এই ব্যথাকে গ্যাসের সমস্যা ভেবে ভুল করেন।

আরও পড়ুন: জিম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক এড়াতে যে নিয়ম মানা জরুরি

দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে সতর্ক হতে হবে। মনে রাখতে হবে সিভিয়ার প্যানক্রিয়াটাইটিস ছাড়া এমন ব্যথা হয় না। কাজেই বুঝে নিতে হবে এগুলো হার্ট থেকেই হচ্ছে।

অন্যান্য উপসর্গগুলো হলো- রাতে ঘুমের মধ্যে বুকে চাপ, হঠাৎ ঘুম ভেঙে গিয়ে আর ঘুম না আসা, ঘুম থেকে উঠে সকালে শরীর খারাপ লাগা, বুক ধড়ফড়, শ্বাস নিতে সমস্যা, ক্লান্ত লাগা ইত্যাদি।

হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত কী করবেন?

হার্ট অ্যটাকে আক্রান্ত হয়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে সিপিআর দিতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসকিটেশন। এক্ষেত্রে আক্রান্তের বুকে চাপ দিতে হবে।

আরও পড়ুন: মিনি হার্ট অ্যাটাকে ১০ মিনিটেই হতে পারে মৃত্যু, জানুন লক্ষণ

৩০ বার চাপ দেওয়ার পর একবার করে আক্রান্তের মুখে মুখ দিয়ে হাওয়া দিতে হবে। মুখ দিয়ে যদি হাওয়া দিতে নাও পারেন, শুধুই বুকে চাপ দিতে থাকুন ঘনঘন। আর যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়া ব্যবস্থা করুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জেএমএস/এএসএম

পরবর্তী খবর

এসি বিস্ফোরণ কেন ঘটে? দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ১৩ মে ২০২৩

তীব্র তাপ প্রবাহে এখন জনজীবন অতীষ্ট। এই গরমে যাদের ঘরে আছে এসি তারাই একটু স্বস্তিতে আছেন। আবার অনেকেই এই গরম সহ্য করতে না পেরে এসি কিনছেন। যারা নিয়মিত এসি ব্যবহার করেন, তাদের কমবেশি ধারণা আছে সেটি রক্ষণাবেক্ষণে কী করণীয় আর কী নয়!

তবে নতুন ব্যবহারকারীদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই কীভাবে বা কতদিন পরপর এসি সার্ভিসিং করতে হয় কিংবা কীভাবে এসি থেকে দুর্ঘটনা ঘটে ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: গরমে ফ্যান-এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল কমাবেন যেভাবে

বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার ও দিকনির্দেশনা মেনে সেগুলো অপারেট করতে হবে। না হলে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

এসি বিস্ফোরণ কেন ঘটে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকে রুমের লোড অনুপাতে এসি ব্যবহার করেন না। ফলে এসি অনেকক্ষণ ধরে চলার পর ঘর ঠান্ডা হয়। ফলে এসি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়।

নিম্নমানের এসি কিনলে সেগুলোর ভেতরে ফ্যান, তারের, বিদ্যুতের ব্যবস্থাগুলো ঠিক থাকে না। ফলে সেখানেও কারিগরি ক্রুটি দেখা যায়, যা অনেক সময় আগুনের সূত্রপাত করতে পারে।

আরও পড়ুন: গরমে ফ্যান-এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল কমাবেন যেভাবে

এসি দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ হলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। ফলে কারিগরি ক্রুটির কারণে এসিতে আগুন ধরে যেতে পারে বা এসির গ্যাসে আগুন লেগে সেটি ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অনেক সময় উইন্ডো এসির সামনে জানালা বা দরজার পর্দা চলে এলে বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। সেটিও এসিকে গরম করে তুলতে পারে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন: এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

এসি দুর্ঘটনার সম্ভাব্য আরও কয়েকটি কারণ হলো-

১. অনেক পুরোনো বা নিম্নমানের এসির ব্যবহার করা
২. রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক ক্ষমতার এসি ব্যবহার না করা
৩. কম্প্রেসরের ভেতরে ময়লা আটকে জ্যাম তৈরি হওয়া
৪. এসি থেকে গ্যাস লিক হওয়া ও সেটি রুমে বা এসির ভেতরে জমে থাকা

আরও পড়ুন: এসির ‘টন’ কী? কোন ঘরে কত টনের এসি রাখবেন

৫. দীর্ঘক্ষণ টানা এসি চালানো, যার ফলে এসির প্রেশার বেড়ে যায় ও সেটিকে গরম করে তোলে
৬. এসির ভেতরের বা বাইরের বৈদ্যুতিক তার নড়বড়ে হয়ে থাকা, যা শর্টসার্কিটের তৈরি করতে পারে
৭. বৈদ্যুতিক হাই ভোল্টেজের কারণে ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ওপর চাপ তৈরি হওয়া
৮. অনেকদিন এসির সার্ভিসিং না করানো ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: এসি কেনার আগে চেক করুন বিশেষ ৪ সুবিধা আছে কি না

এসি দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটি

১. পেশাদারদের মাধ্যমে নিয়মিত সার্ভিসিং করানো
২. রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক মাত্রার এসি নির্ধারণ
৩. নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি কেনা
৪. দীর্ঘসময় একটানা এসি না চালিয়ে মাঝে মধ্যে বিরতি দেওয়া

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা এড়াতে এসি ব্যবহারের আগে যা করা জরুরি

৫. বৈদ্যুতিক সংযোগ, সকেট, ফিল্টার নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা
৬. হাই ভোল্টেজ এড়াতে বাড়িতে সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা ও
৭. বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় এসির ব্যবহার বন্ধ রাখা। এছাড়া বাড়ির ছাড়ে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

জেএমএস/এএসএম

পরবর্তী খবর

ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা সংকেতের কোনটির অর্থ কী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ১২ মে ২০২৩

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ রোববার (১৪ মে) দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত যে গতিতে ঘূর্ণিঝড় মোখা এগোচ্ছে, তাতে রোববার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ও মিয়ানমারের উত্তর-উপকূল দিয়ে এটি অতিক্রম করতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে মোখা শক্তি হারাবে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কে, কেন ও কীভাবে করেন?

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তবে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা সংকেতের বিভিন্ন সংখ্যা আসলে কতটা ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়, চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

>> ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের অর্থ হলো, জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হবে।

>> ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের অর্থ হলো, দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আসার আগেই যা করবেন

>> ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত তখনই দেওয়া হয়, যখন বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগ কবলিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বন্দরে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে ও ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হতে পারে।

>> ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের অর্থ হলো, বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১-৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।

>> ৫ নম্বর বিপদ সংকেত অর্থ, বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আরও পড়ুন: বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

>> ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়, যখন বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ার ঝুঁকি থাকে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

>> ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ইঙ্গিত দেয়, বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরের উপর বা এর নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

>> ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প কেন হয়?

>> ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের অর্থ হলো, বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

>> ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত তখন দেওয়া হয়, যখন বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশি হতে পারে।

>> ১১ নম্বর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত দ্বারা জানান দেওয়া হয়, আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ও স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা পরিস্থিতি দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।

জেএমএস/এমএস

পরবর্তী খবর

ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করা সত্যিই কি হার্টের জন্য বিপজ্জনক?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ১২ মে ২০২৩

তীব্র গরমে এক গ্লাস বরফ ঠান্ডা পানি পানের ইচ্ছে হয় সবার মনেই। তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু ভালো নাকি মন্দ তা বিবেচ্য বিষয়। অনেকেই এ বিষয়ে ভাবেন না, ফলে অজান্তেই হয়তো বিপদ ডেকে আনছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কখনো ফ্রিজে রাখা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি সরাসরি পান করা উচিত নয়। ঘরের তাপমাত্রায় রাখা পানির সঙ্গে বরফ ঠান্ডা পানি মিশিয়ে পান করা ভালো।

আরও পড়ুন: মাটির পাত্রের পানি পানে শরীরে মিলবে যেসব উপকার

অনেকেরই হয়তো জানা আছে, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা হার্টের জন্য খারাপ। তবে এই কথা কতটা সত্যি? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

এ বিষয়ে ভারতের গুরুগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান পরিচালক ডা. মনজিন্দর সান্ধু (কর্ণেল) জানান, হঠাৎ করে প্রচুর পরিমাণে খুব ঠান্ডা পানি বা পানীয় পান করলে ধমনীতে হঠাৎ ভ্যাসোস্পাজম সৃষ্টি করার কারণে বিরূপ পরিণতি হতে পারে।

তাই হৃদরোগীদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা তাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এটি হার্ট অ্যারিথমিয়াকে ট্রিগার করতে পারে ও ভাসোস্পাজম হতে পারে, যা কখনো কখনো হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে, বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।

আরও পড়ুন: গরমে কত লিটার পানি পান করলে সুস্থ থাকবেন?

ভাসোস্পাজম কী?

ভাসোস্পাজম হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তনালিগুলো সরু হয়ে যায় ও রক্তের প্রবাহকে বাঁধা দেয়। এটি ঘটে কি না তার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ভাসোস্পাজম যেমন- করোনারি ভাসোস্পাজম, সেরিব্রাল ভাসোস্পাজম, স্তনবৃন্ত ভাসোস্পাজম ও আঙ্গুল বা পায়ের আঙুলের ভাসোস্পাজম।

করোনারি ভাসোস্পাজম বেশিরভাগই ঠান্ডার কারণে ঘটে ও এটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, মূর্ছা যাওয়া, এনজাইনা বা বুকে ব্যথা ও তীব্র করোনারি সিনড্রোমের মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

ঠান্ডাজনিত কারণে হাত-পায়ের আঙুলের মধ্যে যে ভাসোস্পাজম হয়, তা ত্বকের রঙে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এক্ষেত্রে আঙুল কাঁপতে বা ঝাঁঝালো সংবেদন দেখা যায়।

আরও পড়ুন: তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকতে স্যালাইন নাকি ডাবের পানি পান করবেন?

তাহলে ঠান্ডা না গরম পানি পান করবেন?

বিশেষজ্ঞের মতে, ঘরের তাপমাত্রায় রাখা পানি পান করাই সবচেয়ে ভালো। অনেক আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য খাবারের পরে হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন।

এই গরমে শরীরে যাতে পানিশূন্যতার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। আপনার শরীরে আর্দ্রভাব বজায় আছে কি না তা বুঝতে প্রস্রাবের রং পরীক্ষা করুন, যদি তা গাঢ় রঙের হয় তাহলে আরও পানি করুন।

শুধু পানি নয়, ফলমূল ও শাকসবজি থেকেও প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। যেমন- শসা, তরমুজ, এক গ্লাস বাটারমিল্ক ইত্যাদি আপনাকে সারাদিন হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস

পরবর্তী খবর

ছুটির দিনে পাতে রাখুন কবুতরের মাংস ভুনা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ১২ মে ২০২৩

কবুতরের মাংস খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। এটি স্বাদেও যেমন সুস্বাদু, ঠিক তেমনিই পুষ্টিতেও ভরপুর।

যে কোনো পাখির মাংসের তুলনায় কবুতরের মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। কবুতরের মাংস খেতে সুস্বাদু হলেও, এটি যদি ভালোভাবে রান্না করা হয় তাহলে খেতেও তেমন ভালো লাগে না।

আরও পড়ুন: ছোট মাছের মরিচখোলার রেসিপি

তাই হোটেল বা রেস্টুরেন্টের মতো যদি কবুতর ভুনা রাঁধতে চান, তাহলে অনুসরণ করতে পারেন রেসিপি-

উপকরণ

১. কবুতর ৪টি
২. পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
৩. পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
৪. আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
৫. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
৬. মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
৭. ভাজা জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
৮. ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ
৯. তেজপাতা ১টি
১০. এলাচ ২টি
১১. দারুচিনি ১টি ও
১২. লবণ স্বাদমতো।

আরও পড়ুন: পাকা আমের লাচ্ছি

পদ্ধতি

প্যানে তেল গরম করে এলাচ, তেজপাতা ও দারুচিনি দিয়ে একটু ভেজে নিন। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি দিন।

পেঁয়াজ নরম হলে এতে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দিন। এবার অল্প পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন।

আরও পড়ুন: বিকেলের নাশতায় রাখুন চিকেন চাপ 

কষানো হলে এতে কবুতরের মাংস দিয়ে নাড়াচাড়া করে মাংস কষিয়ে নিন। মাংস সেদ্ধ হওয়ার জন্য আরেকটু পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।

এরপর ভাজা জিরার গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন খুব সুস্বাদু কবুতরের মাংস ভুনা।

জেএমএস/জিকেএস