‘হ্যালো’ বলুন আজ
প্রতিদিন একে অন্যের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে হ্যালো বলে সম্বোধন করেন কমবেশি সবাই। বিশেষ করে কাউকে ফোন করলে, প্রথমেই সবার মুখ দিয়ে বেরিয়ে পড়ে হ্যালো শব্দটি।
জানেন কি, হ্যালো শব্দের অর্থ কী? এর অর্থ হলো ‘কি হে’। কাউকে সম্বোধন করে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুসখুসে কাশি সারাতে কী খাবেন?
সর্বপ্রথম টেলিফোনের মাধ্যমেই ‘হ্যালো’ শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। শুধু ফোনেই নয় বরং পরিচিত বা অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও হ্যালো শব্দটির প্রচলন অনেক আগে থেকেই।
বর্তমানে হ্যালো শব্দের ব্যবহারিতা অনেক বেড়েছে। আজ কিন্তু হ্যালো বলার দিন। অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড হ্যালো ডে বা বিশ্ব হ্যালো দিবস। বিশ্ব হ্যালো দিবস প্রথম ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের দিকে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত বেশ গুরুতর ছিল।
এর পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৭৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে ইয়োম কিপপুর যুদ্ধে হাজার হাজার সৈন্য ও নিরপরাধ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিল। কিছু সৈন্য নির্যাতিত হয়েছিল ও তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শীতে হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরে কেন?
যুদ্ধের শেষে শান্তি আলোচনায় ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আরব ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সরাসরি জনসাধারণের আলোচনার জন্য মিলিত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই হ্যালো দিবসটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্ল্ড হ্যালো দিবসের ধারণাটি তৈরি করেছিলেন ব্রায়ান ম্যাককরম্যাক (পিএইচডি)। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্নাতক ও হার্ভার্ডের স্নাতক মাইকেল ম্যাককরম্যাক।
এই দিবস প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে বিগত ৪২ বছরে, বিশ্ব হ্যালো দিবস ১৮০ দেশে পালিত হচ্ছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ৩১ জন বিজয়ী বলেছেন, বিশ্ব হ্যালো দিবস শান্তি রক্ষার জন্য একটি উপকরণ হিসেবে যথেষ্ট মূল্য বহন করে।
সূত্র: ডে’স অব দ্য ইয়ার
জেএমএস/এএসএম