সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মেঘদূতের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
মেঘদূত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অতিথিরা, ছবি: সংগৃহীত
সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়- এই স্লোগানকে ধারণ করে উদযাপিত হলো মেঘদূত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং লেখক-সুহৃদ মিলনমেলা ২০২৫।
ঢাকার বেইলি রোডে মহিলা সমিতি মিলনায়তনে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কবিকণ্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজনটি সাজানো হয়েছিল।
মেঘদূতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-মেঘদূত প্রকাশনের বেস্ট সেলার সম্মাননা দেওয়া হয়। বেস্টসেলার সম্মাননাপ্রাপ্ত তিনজন লেখক হলেন নূরুল হক, মাকসুদা বিথী ও খান আফিফা লুনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রয়েল ট্রেডিং করপোরেশনের সিইও হাদিয়ার রহমান মীর।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সমাজ বিনির্মাণে সৌন্দর্য ও জ্ঞানের চর্চাকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, বৈষম্যহীন মানবতাবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে সৃজনশীল চর্চার বিকল্প নেই। মানুষের সৃষ্টিশীলতার বিকাশ সাধনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে দেশপ্রেমের বিস্তার ঘটাতে পারলেই আলোকিত সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ সহজ হবে।
উপস্থিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে মেঘদূত সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। মননশীল ও শুদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে মেঘদূতের এই পথচলা আরও গতিশীল হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক ছিলেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক গরীব নেওয়াজ। এ সময় অনুষ্ঠানের সদস্যসচিব কবি ও কথাসাহিত্যিক খান আফিফা লুনা, মেঘদূত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি, কথাসাহিত্যিক ও আবৃত্তিশিল্পী তাহেরা আফরোজসহ দুই শতাধিক লেখক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেঘদূতের সভাপতি ভাষাবিদ রাশেদ চৌধুরী।
এমএমএআর/জিকেএস