ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

রাজধানীর শাহবাগে বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে এটিএন বাংলার দুই সাংবাদিককে নির্যাতনের অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। এটিএন নিউজ লিমিটেডের পক্ষে উপ ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোশাররফ আলম সিদ্দিকী এ মামলা করেন।

হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশ নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগে বলা হয়। শাহবাগ থানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার ও ক্যামেরাপার্সন আ. আলীম বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা অর্ধদিবস হরতালের খবর সংগ্রহে শাহবাগ থানার সামনের সড়কে  দায়িত্ব পালন করছিলেন।

হরতালের শেষ দিকে অনুমানিক দুপুর পৌনে ২টার দিকে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ক্যামেরাপার্সন আ. আলীম সে দৃশ্য ধারণ করছিলেন। এমন সময়   বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোনো ধরণের উসকানী ছাড়াই আ. আলীমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় ও রাইফেলের বাট দিয়ে বেদম পেটাতে শুরু করে। এমনকি ক্যামেরা কেড়ে নেয়ারও চেষ্টা চালায়।

এজাহারে আরও বলা হয়, আলীমকে মারধর করতে দেখে স্টাফ রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার তাকে উদ্ধারের এগিয়ে আসলে তাকেও কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় ও রাইফেলের বাট দিয়ে নির্যাতন করতে থাকে পুলিশ সদস্যরা।

এক পর্যায়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের দুজনকে লাথি মারতে মারতে, টেনেহিঁচড়ে শাহবাগ থানার অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। থানার ভেতরেও তাদের ওপর উপর্যপুরি নির্যাতন চালানো হয়। এসময় থানার অভ্যন্তরে আরও পুলিশ সদস্যরা যুক্ত হয়ে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা ও বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ভাঙচুর করা হয় আলীমের সঙ্গে থাকা এটিএন নিউজের ক্যামেরা।

এসময় কয়েকজন সহকর্মী তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের উদ্ধার করে। পুরো ঘটনার ভিডিও ও স্থির চিত্র ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।

খবর পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে এটিএন নিউজে কয়েকজন সিনিয়র রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সন এবং অন্য সহকর্মীরা শাহবাগ থানায় ছুটে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাদের শরীরে গুরুতর জখমের আলামত পান।

পরে থানায় এসে বিভিন্ন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ও স্থির চিত্র থেকে নির্যাতনকারী কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে শাহবাগ থানা পুলিশের এএসআই এরশাদ মণ্ডল, কনস্টেবল মোখলেছুর, হোসেন কবির ও  সবুজ খান ছাড়াও আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়।

এমইউ/এএইচ/এমএস

আরও পড়ুন