ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিবিধ

তারেক রহমান: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার অতন্দ্র প্রহরী

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহিদ হাসান শাকিল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস ৩ সেপ্টেম্বর। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই ২০০৭ সালে জরুরি বিধিমালার ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে ১/১১ এর মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার। টানা ১৮ মাস কারাগারে তার ওপর জুলুম, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়। জনগণের দাবির মুখে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ১২ মামলায় জামিন লাভ করে মুক্তি পান তিনি।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের পর পরই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের নজরে পড়ে যান তিনি। কারণ এই নির্বাচনে বিজয়ের নেপথ্যের রূপকার হলেন তারেক রহমান। মূলত ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে সারাদেশে বিএনপি তথা তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা তখন তুমুল তুঙ্গে।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তিনি সারাদেশের গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে তৃণমূলে সমাবেশ করে জনগণকে সংগঠিত করেন এবং দেশ নিয়ে তার চিন্তা-ভাবনা তাদের সামনে তুলে ধরেন। তৃণমূলে তার এই জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে।

এজন্যই ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা উপলব্ধি করতে পারেন যে তারেক রহমানকে না থামাতে পারলে আগামী দিন তাদের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাবে। কারণ তারেক রহমানের মধ্যে তার বাবা মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক চরিত্রের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান ষড়যন্ত্রকারীরা।

তখন থেকেই তাকে টার্গেট করেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং সেই টার্গেট বাস্তবায়ন করেন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ১/১১ এর মঈনুদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের জরুরি সময়ে। গ্রেফতারের পরপরই তার ওপর চালানো হয় নির্যাতন। মূলত তাকে মেরে ফেলে দেওয়াই ছিল এই ষড়যন্ত্রকারীদের মূল উদ্দেশ্য।

তবে বাংলাদেশের জনগণের বাধার মুখে সব ষড়যন্ত্রকারীর বাধা অতিক্রম করে ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে জামিন পান তিনি। মুক্তির পরও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি ষড়যন্ত্র করতে। ষড়যন্ত্রকারীরা তারেক রহমানের চরিত্রহনন এবং মিথ্যা প্রোপাগান্ডার প্রচার করেছে বিভিন্ন কায়দায়।

১/১১ সরকারের ২ বছর ও ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছর সব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেও সারাদেশে অনুসন্ধান করেও তার নামে একটি দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তার নামে দেওয়া মিথ্যা মামলার রায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে না যাওয়াই বিচারককে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ হতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। ১/১১ মইনুদ্দিন ও ফখরুদ্দিন এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার নামে মোট ৮৩টি মামলা দিয়েছিল। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর চারটি বাদে সব মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। তার মামলাগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই খারিজ ও কিছু মামলা খালাস দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ যখন বারবার বিপদের মুখে পতিত হয়েছে তখনই সবার আগে দাঁড়িয়ে গেছে জিয়া পরিবার। দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে, ৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ পতনে খালেদা জিয়া লড়াই, সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতনের ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান।

১৬ বছর তিনি জনগণের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ না করতে পারেন সেজন্য তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং তার বাক স্বাধীনতা হরণ করে নেয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের পতনে তিনি এবং তার দল বিএনপি সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জনগণের সঙ্গে নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জনগণ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে তার নির্দেশেই অসংখ্য নেতাকর্মী অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। এজন্যই তিনি এখন কোনো নির্দিষ্ট দল, মত, গোষ্ঠীর নেতা নন। তিনি আপামর মানুষের নেতা। তিনি বাংলার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী।

এমআইএইচএস/এএসএম