কোচিংয়ে যাওয়ার পথে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ১
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয় মো. ওয়াসিমুল বারী রাফিদকে (১৬)। পরে নির্মাণাধীন একটি ভবনে আটকে রেখে তার অভিভাবকের কাছে চাওয়া হয় ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ। মুক্তিপণের টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত ভিকটিম রাফিদকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের সদস্য গিট্টু ফাহিমকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
শনিবার (০৮ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল দক্ষিণখান থানার রেলগেইট এলাকা থেকে গিট্টু ফাহিমকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, ভিকটিম মো. ওয়াসিমুল বারী রাফিদ ও গ্রেফতারকৃত ফাহিম ওরফে গিট্টু ফাহিম দক্ষিণখান থানার টিআইসি কলোনির ফায়দাবাদ এলাকায় থাকেন। গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে মো. ওয়াসিমুল বারী রাফিদ দক্ষিণখান থানাধীন টিআইসি কলোনির ফায়দাবাদ এলাকার নিজ বাসা থেকে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পথে মজির উদ্দিন মার্কেটের সামনে আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফাহিম ওরফে গিট্টু ফাহিমসহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন তার পথরোধ করে। পরে তারা ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে তাকে ফায়দাবাদ এলাকার আদম আলী মার্কেটের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ফাহিম ও তার সহযোগীরা ভিকটিম মো.ওয়াসিমুল বারী রাফিদের মোবাইল থেকে তার জমজ ভাই মো. রহিত হাসানের মোবাইলে ফোন করে ৬লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং মুক্তিপণের টাকা না দিলে রাফিদকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম রাফিদের মা মোসা. ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা সূত্রের বরাতে তিনি আরও বলেন, মামলার পর দক্ষিণখান থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও আসামির অবস্থান শনাক্ত করে গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দক্ষিণখান থানার রেলগেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফাহিম ওরফে গিট্টু ফাহিমকে গ্রেফতার করে ও অপহৃত মো. ওয়াসিমুল বারী রাফিদকে উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণখান থানার মামলায় গ্রেফতারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কেআর/এএমএ/জিকেএস