ঈদের দ্বিতীয় দিন রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনেকটা ফাঁকা

প্রতিবছর ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এবার অনেকটায় ফাঁকা এখনো। বিশেষ করে রাজধানীর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লোক সমাগম কম। তবে বিকেলে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দর্শনার্থী সংকটের কারণ হিসেবে লম্বা ছুটির কথা বলছেন রমনা পার্কের নিরাপত্তায় দায়িত্বরতরা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
রোববার (৮ জুন) রাজধানীর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোকজন খুব কম। দু-একজনকে দেখা যায় সেলফি তুলতে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে রমনা পার্কে মুখর পরিবেশ বিরাজ করে। ঘুরতে আসা নগরবাসীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে এই পার্কটি। আর দর্শনার্থীদের এমন উপস্থিতিতে শিশুদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। তবে আজকের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। খুব একটা দর্শনার্থী নেই বললেই চলে।
মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছেন আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, অন্য সময়ে এসে যে পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি দেখি আজ তার কিছুই নেই। চারদিকে ফাঁকা। কোনো হইহুল্লোড়র নেই। অবশ্য বেশি লোক হলে চলাফেরা করতেও সমস্যা হয়। সেই হিসাবে ফাঁকা পার্কে ঘুরতেই ভালো লাগছে।
বিজ্ঞাপন
আজিমপুর থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মো. মিনহাজুল ইসলাম। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। ঈদের ছুটিতে থেকে গেছেন ঢাকায়।
তিনি বলেন, এবার ঈদের ছুটিতে কোথাও যাওয়া হয়নি। এজন্য পরিবার নিয়ে আজ ঘুরতে বের হয়েছি।
বিজ্ঞাপন
মতিঝিল থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব বন্ধু মিলে ঘোরাঘুরি, আড্ডা দেওয়া, ছবি তোলা- এই জন্য আমরা পার্কে এসেছি। সবসময় তো আসা হয় না। সাধারণত ঈদের ছুটির সময়ই আমরা সবাই একসঙ্গে ঘুরতে বের হই। সবাই মিলে সারাদিন ঘোরাঘুরি করবো, খাওয়াদাওয়া করবো তারপর বাসায় ফিরবো।
রমনা পার্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পার্কে খুব একটা মানুষ নেই। অনেক বড় ছুটি হওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষই গ্রামে চলে গেছে, এই জন্য ভিড় কম। তবে বিকেলের দিকে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে কিছু মানুষ আসতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, রমনা পার্কে ফটোগ্রাফি করে জীবিকা অর্জন করেন মো. টিটুল হোসেন। তিনি বলেন, কাস্টমার নেই ভাই। ব্যবসা ভালো না। পার্কে মানুষই নেই, ছবি তোলার মানুষ আসবে কোথা থেকে।
এক ফুল বিক্রেতা বলেন, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এসেছি। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫০ টাকা বেচতে পেরেছি। সারাদিনে কী হবে কে জানে।
বিজ্ঞাপন
কেআর/এসএনআর/জেআইএম
বিজ্ঞাপন