জুলাই আন্দোলনে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের একটি দৃশ্য/ফাইল ছবি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যেসব স্থানে ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সেসব স্থানে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ডিএনসিসির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সভায় ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যেসব স্থানে ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন, সেসব স্থানে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।
- আরও পড়ুন
লাল কাপড়ে ঢেকে গেলো শহীদ আবু সাঈদ ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’
জুলাই আন্দোলনে আহত-শহীদদের এককালীন অনুদান-ভাতা দেওয়া হবে
এছাড়া উত্তরা ৪নং সেক্টর কবরস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান ও রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে অবস্থিত জুলাই শহীদদের ১৩টি কবর বাঁধাই করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ
সভায় শহরের পার্ক ব্যবস্থাপনায় সংস্কারমূলক সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। ৫ম করপোরেশন সভায় গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের সঙ্গে ডিএনসিসির শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ স্মৃতি পার্ক রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করা হয়। ক্লাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ৮ম সভায় চুক্তিটি পুনর্বহাল করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হবে গুলশানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ স্মৃতি পার্ক।
এছাড়া বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ পার্ক এবং ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের দায়িত্ব গুলশান সোসাইটিকে এবং বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি পার্কের দায়িত্ব বনানী স্পোর্টস এরিনাকে প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডিএনসিসির সম্পাদিত চুক্তি সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
এমএমএ/ইএ/জেআইএম