ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা

অটোরিকশা উঠিয়ে দেওয়া উচিত, কিন্তু এগুলো কর্মসংস্থানের উৎস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৫

রাজধানীতে চলাচল করা ব্যাটারিচালিত ঝুঁকিপূর্ণ অটোরিকশাগুলো উঠিয়ে দেওয়া উচিত, কিন্তু এগুলো আমাদের লোকের কর্মসংস্থানের উৎস বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি ও অবস্থান বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আইডিয়েলি এসব বাহন রিস্কি (ঝুঁকিপূর্ণ) এবং এগুলো যানজটের কারণ। এগুলো উঠিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু একটা জিনিসও মনে রাখতে হবে এগুলো কিন্তু আমাদের লোকের কর্মসংস্থানের উৎস। আমরা তো মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে পারছি না। কারণ প্রত্যেকটা অটোরিকশার পেছনে একটা পরিবার আছে। সেই পরিবারের জীবন ধারণ কিন্তু এটাতে হয়।

তিনি বলেন, আজ যদি আমি এখান থেকে বলি কাল থেকে কোনো অটোরিকশা চালাতে দেওয়া হবে না, যদি ব্যবস্থা নিতে শুরু করে আমাদের পুলিশ থেকে; তাহলে তো কতজন চালক রাস্তায় নেমে আসবে। এরপরে রাস্তায় কি আদৌ কেউ চলাচল করতে পারবে?

আমরা জানি আদর্শটা কী! আমরা জানি কোন রাস্তায়... আমরা ওই রাস্তায়ই যেতে চেষ্টা করছি। সড়কে যাতে যানজট কমে আমরা সেই চেষ্টা করছি। কিছু বাস্তবতা আছে আমাদের মেনে নিতে হবে।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি, এগুলো যাতে বেআইনিভাবে চার্জ করতে না পারে, সে বিষয়ে যাতে তারা ব্যবস্থা নেয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অটোরিকশা নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার সচিবকে এ বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ করেন। এ সময় স্থানীয় সরকার সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, আমরা ঢাকা শহরে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করেছি। অটোরিকশাচালকদের সতর্ক করার জন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। যাতে তারা রাস্তার নিয়ম-কানুন মেনে চলেন।

সচিব আরও বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রাথমিকভাবে দুটি রাস্তায় তিন চাকার অটোরিকশাগুলো দেবো। যেগুলো অত্যন্ত কম গতিসম্পন্ন। জ্বালানি কম, সাশ্রয়ী হবে যাত্রীদেরও সুবিধা হবে। যানজট কিছুটা নিরসন হবে। পরীক্ষামূলক এই ব্যবস্থা যদি সফল হয়, তবে পুরোপুরি সিটি করপোরেশনগুলোতে আমরা চালু করবো। আশা করি আমরা এটার একটা ফলাফল পাবো। এখানে ট্রাফিক বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা জড়িত ছিল। পাইলট করার পর এটা আমরা ব্যাপকভাবে ঢাকা সিটিতে দেবো।

আরএমএম/এসএনআর/জেআইএম