ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত ১০ সেপ্টেম্বর জাগো নিউজে ‘১০ বছর পর গোমর ফাঁস/ছুটি নিয়েও পিএইচডি করেননি মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমীর মো. জাহিদ।

প্রতিবাদে বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে হেডলাইনে বলা ‘মিথ্যা পিএইচডি উপাধি নিয়ে এখন মহাবিপদে পড়েছেন তিনি’ এটি চরম মিথ্যাচার। আমি চাকরিজীবনের কোথাও একদিনের জন্যও পিএইচডি উপাধি ব্যবহার করিনি বা নামের সঙ্গে ডক্টরেট উপাধি ব্যবহার করিনি।

এ বিষয়ে গত ২৭ আগস্ট মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মহোদয়ের দপ্তরের ১৮১৮ নং পত্রের মাধ্যমে কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রেক্ষিতে ০৭/০৯/২০২৫ তারিখে প্রদত্ত আমার জবাবের মাধ্যমে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন না করতে পারার ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
ছুটি নিয়েও পিএইচডি করেননি মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

‘১০ বছর পর গোমর ফাঁস’ এ সাবহেড হচ্ছে মুখরোচক ও অতিরঞ্জনভাবে সংবাদ প্রকাশ। প্রকৃত অর্থে আমি আমার অবশিষ্ট চাকরিজীবনের (২০১৫-২০২৫) কোথাও আমার ছুটি পাওয়ার বিষয়টি গোপন করিনি। আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে বিষয়টি সবসময় উপস্থাপন করেছি। ইতোমধ্যে আমি পিএসও, সিএসও পদে পদোন্নতি লাভ করেছি। পদোন্নতির কাগজপত্রেও (পিডিএস) আমি সঠিকভাবে বিষয়টি উপস্থাপনা করেছি।

আমি একজন বিসিএস কৃষি ক্যাডারের কর্মকর্তা। কর্মক্ষেত্রে আমি সব সময় পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে এসেছি। কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কোনোদিনই ছিল না। আমার রাজশাহী থেকে ঢাকায় বদলি হয়ে আসার বিষয়ে আমার বক্তব্য প্রশাসনিক প্রধান (ডিজি) এবং প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের (কৃষি মন্ত্রণালয়) মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভবে ঢাকার বিভাগীয় কার্যালয়ের শূন্য পদে পদায়ন পেয়েছি।

প্রতিবেদনে মহাপরিচালকের বরাতে যে বলা হয়েছে তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি তাও সর্বৈবভাবে মিথ্যাচার।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘মিথ্যা পিএইচডি উপাধি নিয়ে এখন মহাবিপদে পড়েছেন এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা’, সেটি কখনো মিথ্যাচার হতে পারে না। কারণ আমীর মো. জাহিদ তিন বছর পিএইচডির ছুটি কাটিয়েছেন, কিন্তু ডিগ্রি অর্জন করেননি। যার জন্য ১০ বছর পরে তাকে শোকজ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।

চাকরিজীবনের কোথাও একদিনের জন্যও তিনি পিএইচডি উপাধি ব্যবহার করেননি বা নামের সঙ্গে ডক্টরেট উপাধি ব্যবহার করেননি বলে তিনি দাবি করলেও তিনি তিন বছর সরকারি সব সুবিধা ভোগ করার পরেও ডিগ্রি অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি গোপন করেছেন, যা পরিষ্কার অসদাচরণ। তারপরও তার এসব বক্তব্য জাগো নিউজের প্রতিবেদনে হুবহু প্রকাশ করা হয়েছিল।

মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমীর মো. জাহিদ দাবি করেছেন, তিনি এসব বিষয়ে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন ৭ সেপ্টেম্বর। তবে ওই নিউজ প্রকাশের জন্য ৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় প্রতিবেদককে দেওয়া বক্তব্যের আগ পর্যন্ত তিনি কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। বরং প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার পরে বিষয়টি জানাজানি হবে বুঝে তিনি দায়সারা ব্যাখ্যা প্রদান করেন। যা গ্রহণযোগ্য হয়নি বলেও পরে জানা গেছে মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে।

রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে আমীর মো. জাহিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বিষয়ে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে কয়েকজন কর্মকর্তার সুনির্দিষ্ট বক্তব্যে প্রমাণিত। পাশাপাশি মহাপরিচালককে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বিষয়ে প্রতিবেদকের বক্তব্য হচ্ছে, উভয় কর্মকর্তা (আমীর মো. জাহিদ ও মহাপরিচালক) তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানিয়েছেন।

আমীর মো. জাহিদ নিজে জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই ডিজি (মহাপরিচালক) আমার পেছনে লেগেছেন। আমি ঢাকায় বদলি হয়ে আসার পরে তিনি মনে করেন তার পদে আমি বসবো। সে জন্য নাকি তার বুকে ব্যথা হয়।’

মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ‘১০ বছর পর গোমর ফাঁস’ এ সাবহেডকে মুখরোচক ও অতিরঞ্জনভাবে সংবাদ প্রকাশ বলে যে দাবি করেছেন সেটি জাগো নিউজের মতো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমকে হেও করা হয়েছে। সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে তিন বছর ব্যক্তিগত কাজে কাটিয়ে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করেছেন।

এনএইচ/এমএমএআর/জিকেএস