২২ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ, নদী-সমুদ্রে কঠোর নজরদারিতে কোস্টগার্ড
জাতীয় মাছ ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে দেশের সমুদ্র, উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দেশের সমুদ্র, উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তার পাশাপাশি মৎস্যসম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালীন কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে বাহিনীটি।

সিয়াম-উল-হক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু আর্টিসানাল ট্রলিং বোটের মাধ্যমে মাছ শিকারের কারণে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, প্রজনন ব্যাহত ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এসব অবৈধ ট্রলিং বোটের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালানোর ফলে এর ব্যবহার অনেকটাই কমে এসেছে। এতে ভবিষ্যতে সমুদ্র ও নদীতে মাছের প্রাচুর্য বাড়বে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০’ অনুযায়ী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে।

এ বিধিনিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাশাপাশি নদী ও উপকূলে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভার মাধ্যমে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।
কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা বলেন, জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে মা ইলিশ সংরক্ষণে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আজকের সংরক্ষণই আগামী দিনের প্রাচুর্য। আসুন, সবাই মিলে মা ইলিশ রক্ষায় কোস্টগার্ডকে সহায়তা করি, যেন সুনীল অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়।

এছাড়া উপকূল ও সমুদ্র অঞ্চলে যেকোনো প্রয়োজনে কোস্টগার্ডের জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ ফোনকল করলে তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়া যাবে।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক আরও জানান, মা ইলিশ রক্ষায় কোস্টগার্ডের টহল কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে অব্যাহত থাকবে।
টিটি/এমকেআর/জেআইএম