ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের পর জানা গেলো তিনি হত্যা মামলায় পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ধর্ষণ ও নারী হত্যা মামলার আসামি মো. রুহুল মিয়া ওরফে রুহুল আমিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে সিআইডির ঢাকা মেট্রো-পশ্চিম বিভাগের একটি টিম।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দীন এ তথ্য জানান। এর আগে গত ১২ অক্টোবর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জসিম উদ্দীন বলেন, গত ৩ মার্চ ঢাকার পল্লবী থানার সেকশন-৬ ব্লক-ডি এলাকার এক বাসার সামনে থেকে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে অপহরণ করা হয়। সেখানে আসামি রুহুল অন্য সহযোগী আসামিদের সহায়তায় তাকে আটকে রেখে ১২ দিন ধর্ষণ করে বলে ভিকটিম জানিয়েছেন।

১২ দিন নির্যাতনের পর ভিকটিম কৌশলে আসামি রুহুল মিয়ার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার মায়ের মোবাইল নম্বরে কল করেন এবং নিজের অবস্থান ও বিপদগ্রস্ত অবস্থার কথা জানান।

আরও পড়ুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার 
বাংলাদেশি তরুণীদের কাজের কথা বলে চীনে নিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি 

জসিম উদ্দীন আরও বলেন, এরপর ভুক্তভোগীর মা ১৫ মার্চ দুপুরে অজ্ঞাত স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। এ ঘটনার পর ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে সিআইডি ঢাকা মেট্রো-পশ্চিম বিভাগে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

তিনি বলেন, সিআইডি মাঠতদন্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর গোয়েন্দা বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় প্রধান আসামি রুহুল মিয়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন। এরপর সিআইডি ঢাকা মেট্রো-পশ্চিমের একটি বিশেষ টিম ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, রুহুল মিয়া ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। তদন্তে আরও জানা যায়, গ্রেফতার রুহুল মিয়া সিলেটের বালাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। ওই হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন এবং ঢাকায় আত্মগোপনে থেকে নতুন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন।

ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য সহযোগী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান বলেও জানায় সিআইডি।

কেআর/কেএসআর/জিকেএস