লালনের গানের মানবতার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: ফরিদা আখতার
লালনের তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, লালনের গানের মানবতার বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তার গান অত্যন্ত উচ্চমাত্রার সংগীত, যার মধ্যে রয়েছে গভীর দার্শনিক, রাজনৈতিক এবং সর্বোপরি মানবিক মূল্যবোধ।
গতকাল শুক্রবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় লালন একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পর্যায়ে লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) তথ্য অধিদপ্তরের এক বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, প্রথমবারের মতো ফকির লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে, যা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সরকার মনে করে, লালনের দর্শন এবং অবদান শুধু জাতীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখার নয়। ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক, লালনের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ থাকবে না। লালন কোনো দলীয় আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেন না, তিনি মানবতার প্রতীক।
আরও পড়ুন
কুষ্টিয়া শহরের সব সড়ক যেন মিলেছে লালনের আখড়ায়
লালন সাঁই কেন আমাদের ‘মনের মানুষ’
তিনি বলেন, বিশ্ব দরবারে অনেক সাধকের নাম আছে, কিন্তু লালন এখনো আন্তর্জাতিকভাবে ততটা পরিচিত নন। তার ভাবধারা, গান ও দর্শন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জানার অধিকার আছে। আমরা চাই বিশ্বে লালনের নাম, গান ও ভাবনার বিস্তার হোক।
ফরিদা আখতার আরও বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠান শুধু স্মরণ নয়, লালনের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামীদিনে লালনের গান ও দর্শন শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, লালন সাঁই আমাদের দেশের অন্যতম বড় দার্শনিক ও ভাবুক। তার জীবন দর্শন ও আদর্শ আমাদের আত্মস্থ করা প্রয়োজন। জাতীয় পর্যায়ে লালন তিরোধান দিবস উদযাপিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, লেখক ও গবেষক প্রফেসর গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুন।
এমইউ/কেএসআর/জেআইএম