ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সিইসি

ভোটে এআই’র অপব্যবহার রোধে কর্মপন্থা ঠিক করে সমন্বিত সেল করা হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে এআই-এর অপব্যবহারের শঙ্কা করছে নির্বাচন কমিশন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণ করে কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সঠিক তথ্য প্রবাহে একটি সমন্বিত সেল করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, পরিকল্পনা করেছি এখানে মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন এড্রেস করার জন্য একটি সেন্ট্রাল সেল করবো।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এনটিএমসি, এমআইএসটি, বিটিআরসি, সিআইডি, আইসিটি বিভাগ, আইএফইএস, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বেসিস, বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ইসি সচিবালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

‘ইন্টিগ্রেশেন অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন আপকামিং ন্যাশনাল পার্লামেন্ট ইলেকশন টু কাউন্টার মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন’ শীর্ষক সেমিনার উদ্বোধন করেন সিইসি।

এসময় ৪ নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, এআই এর অব্যবহার এখন বৈশ্বিক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এর অপব্যবহার রোধে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নিতে চাই। অনেক দিন ধরে এটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা পরিকল্পনা করেছি এখানে মিসইনফরমেশন, ডিজইনফরমেশন এড্রেস করার জন্য একটি সেন্ট্রাল সেল গ্রো করবো।

সে ক্ষেত্রে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ নিয়ে এগোতে চান বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া কারিগরি বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, আজকের কর্মশালা থেকে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পাবো আশা করি। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে, প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা দুর্গম এলাকা থেকে কোনো মিতথ্য ছড়িয়ে পড়লে, এআই ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়াতে তা দ্রুত কীভাবে রোধ করা যাবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত পরিস্থিতি সঠিক তথ্য কীভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে তা বিবেচনা করতে হবে।

মিথ্য তথ্য, অপতথ্য রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সচল ও কার্যকর ব্যবস্থা থাকে এমন কর্মপন্থা চায় নির্বাচন কমিশন।

এটা ২৪ ঘণ্টার কাজ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কত লোক লাগবে, ফ্যাক্ট চেকিং মেকানিজম কীভাবে কাজ করছে, সংস্থাগুলোর কাজ কীভাবে সমন্বয় করা হবে এবং কার কী কাজ হবে এবং যেখানে মিথ্যা তথ্যের উৎপত্তি হচ্ছে সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে দ্রুত পৌঁছানো যাবে- তার সুস্পষ্ট সুপারিশ আসবে আশা করি।

শহর থেকে দুর্গম এলাকায় এমন সুচারু যোগাযোগ সমন্বয় করাও কঠিন বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, ফ্যাক্ট চেকিং মেকানিজম দ্রুত কাজ করতে হবে। তাই আমাদের সমন্বিত ব্যবস্থা ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু একটা গাইডলাইন চাই না। সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত সুপারিশ চাই।

অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য, গুজব ও এআই অপব্যবহার রোধে সবার সহযোগিতা চান এএমএম নাসির উদ্দিন।

এমওএস/এমআইএইচএস/জিকেএস