পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সবকিছু সরকারের মেনে নেওয়া কখনোই সম্ভব না
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর যে আহ্বান জানায় তার সবকিছু সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়া কখনোই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ (এইচআরডব্লিউ) ছয় মানবাধিকার সংগঠনের চিঠি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এ মন্তব্য করেন।
তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজ করবে, আমরা এটাই মনে করি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের কাজ করবে। (তবে) সরকারের পক্ষে তাদের সবকিছু মেনে নেওয়া কখনোই সম্ভব হবে না। অবশ্যই যখন কোনো মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ আসে সেটাকে আমরা বিবেচনায় নিই এবং সরকারের পক্ষে যেটুকু সম্ভব সেটা করা হয়।’
‘সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক না। প্রত্যেকে তাদের নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই কথাবার্তা বলেন এবং সরকারকে অনেক কিছু বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। আমার মনে হয় আমরা এটাকে এভাবেই দেখবো,’ যোগ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
চিঠির বিষয়ে সরকার প্রতিক্রিয়া জানাবে কি না- জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘যদি তাদের কোনো একটা বিষয় নিয়ে আপত্তি থাকে বা তারা কোনো বিশেষ বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে কোনো উত্তর চান, সেটা অবশ্যই জানাবো।’
বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নতুন করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা রোধে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। রোববার (১৯ অক্টোবর) এইচআরডব্লিউর ওয়েবসাইটে এ চিঠি প্রকাশ করা হয়।
চিঠিটি দিয়েছে এইচআরডব্লিউ, বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করা নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), বিশ্বজুড়ে নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষায় কাজ করা দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক সংস্থা সিভিকাস, রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করা মানবাধিকার সংগঠন থাইল্যান্ডভিত্তিক ফোরটিফাই রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।
জেপিআই/একিউএফ/এমএস