ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সহযোগীর হাতে অটোরিকশা চালক খুন, রহস্য উদঘাটন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাই ও চালক জালাল শিকদার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার ও ছিনতাই করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন মো. শেখ নুরু (৫০) ও মো. মোজাম্মেল মোল্লা (৪৩)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে।

পিবিআই জানায়, নিহতের নাম জালাল শিকদার (৪৬)। তিনি পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার পশ্চিম নেতা গ্রামের নয়া মিয়া শিকদারের ছেলে। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চড়াইল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পূর্বপাড়া কামারপাড়া এলাকার পরিত্যক্ত ডোবায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পিবিআই ঢাকা জেলার ক্রাইম সিন টিম প্রযুক্তিগত সহায়তায় মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করে নিহত জালাল শিকদার হিসেবে। নিহতের স্ত্রী হানুফা বেগম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে পিবিআই ঢাকা জেলা ২৮ সেপ্টেম্বর স্ব-উদ্যোগে তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্তে নিহত জালাল পেশায় অটোরিকশা চালক হলেও একই সঙ্গে ছিনতাইচক্রের সদস্য ছিলেন। তিনি নিয়মিত রাতে অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি ছিনতাই করতেন। ঘটনার রাতে তিনি সহযোগী শেখ নুরুর সঙ্গে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। কিন্তু কোনো সুযোগ না পেয়ে নুরু নিজেই জালালের রিকশা দখলের পরিকল্পনা করে।

পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, চুনকুটিয়া এলাকায় এক দোকানে নুরু জালালকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস পান করায়। জালাল অচেতন হয়ে পড়লে নুরু তাকে শুভাঢ্যা পূর্ব কামারপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্থানে নিয়ে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর লাশ ডোবায় ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন ভোরে তিনি রায়েরবাগ এলাকায় মোজাম্মেল মোল্লার কাছে ৩০ হাজার টাকায় রিকশাটি বিক্রি করেন।

তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআই প্রথমে শেখ নুরুকে শাহ আলী থানার গুদারাঘাট এলাকা থেকে এবং পরে মোজাম্মেলকে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। মোজাম্মেলের হেফাজত থেকে হাবিবনগর খানকা শরিফ এলাকার এক গ্যারেজ থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার দুই আসামিই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছের পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা।

পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা আরও বলেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ছিনতাই করা অটোরিকশা উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

টিটি/এমআইএইচএস/জিকেএস