ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৭১ কোটি টাকা পাচার: রন-রিকসহ ১২ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক ও তার ভাই ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রিক হকসহ ১২ জনের নামে পৃথক দুটি চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের এপ্রিলের বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে রন হক, রিক হক সিকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় রন হক ও রিক হকের বিরুদ্ধে মামলা দুটিতে মোট ৭১ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আর ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুদক, সিআইডি ও বিএফআইইউ কে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

মামলা দুটির অভিযোগপত্রে-ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ্ সৈয়দ আবদুল বারী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল,চৌধুরী মোশতাক আহমেদ ওরফে চৌধুরী রাসেল আহমেদ, সাবেক সিনিয়র এসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট উজ্জ্বল কুমার পাল, মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সুবীর চন্দ্র কর, সাবেক এসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শামসুল আলম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এন এম আহসান হাবিব ও সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিকুল ইসলাম খান কমন আসামি হয়েছেন।

রিক হক প্রথম মামলার চার্জশিটে ও রন হকে দ্বিতীয় মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে। রন হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিনি বিদেশে গিয়ে সাতটি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত সীমার বাইরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেন। ক্রেডিট কার্ডের এই ঋণ তিনি দেশ থেকে পরিশোধ করেন। এর মাধ্যমে তিনি অর্থ পাচার করেছেন। এই অর্থ পাচারে সহযোগিতা করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেন।

আর রিক হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে দুদক বলেছে, তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয় করেন। পরে দেশে ফিরে এই অর্থ পরিশোধ করেন। এর মাধ্যমে তিনি বিদেশে পাচার করেছেন।

এসএম/এমআইএইচএস/এমএস