ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৬০ হাজার ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (৪১) নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা। সঙ্গে আড়াই লাখ টাকাসহ আরও চার মাদককারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার তারা গ্রেপ্তার হন। তবে র‌্যাব-৭ থেকে রোববার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার পরিচয় ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। মঙ্গলবার বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে।

গ্রেফতার আবদুল্লাহ আল মামুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ‘খ’ সার্কেলের পটিয়ার মুজাফ্ফরাবাদ কার্যালয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার মো. আবদুল মতিনের ছেলে।

গ্রেফতার অন্য চারজন হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের মো. ফিরোজের ছেলে মো. মাঈনুদ্দীন (৩০), চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার পূর্ব হাবিবুরপাড়ার মো. রাশেদুল আলম (৩৮) ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার মো. জসিম উদ্দিন (৪১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মো. জুনায়েদ তানভীর তরফদার (২৯)। এছাড়া অভিযানে একটি মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে গেছেন।

র‍্যাব ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পটিয়া থানা এলাকায় টহলরত র‍্যাব সদস্যরা জানতে পারেন, কক্সবাজার থেকে দুটি মাইক্রোবাসে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা চট্টগ্রামে নেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার খরনা এলাকায় কাদের এলপিজি ফিলিং স্টেশনের সামনে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। তবে তল্লাশিচৌকি দেখে পালানোর চেষ্টাকালে প্রথমে একটি মাইক্রোবাস আটক করা হয়।

অভিযানে আবদুল্লাহ আল মামুনের প্যান্টের পকেট থেকে ১০টি ইয়াবা; একটি ওয়াকি-টকি সেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত কোটি ও ক্যাপ এবং গাড়ির ভেতর থেকে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে আরেক মাইক্রোবাসের চালকের আসনের নিচ থেকে।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় গত রোববার পটিয়া থানায় একটি মামলা হয়। গ্রেফতার পাঁচজন ছাড়াও পলাতক চালককে মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে। র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার করা ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুনকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া দুটি মাইক্রোবাসের মধ্যে একটির মালিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের মালিকানাধীন। পলাতক আসামি সেই মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন। গ্রেফতার আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

এমডিআইএইচ/এমআরএম/জেআইএম