ট্রাইব্যুনালের সামনে জড়ো হলেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই আহতরা
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির ফাঁসির দাবি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনে জড়ো হয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির ফাঁসির দাবি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনে জড়ো হয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে ট্রাইব্যুনালের গেটে অবস্থান নেন তারা। এরপর ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তারা হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন। এসময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন জুলাইয়ে আহত যোদ্ধারাও।
রাজধানীর উত্তরা থেকে এসেছেন জুলাই আন্দোলনে আহত আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। জুলাইয়ে আমার যেসব ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের দাবি নিয়ে আমরা এসেছি। শুধু ফাঁসির আদেশ দিলেই হবে না, শিগগির ভারত থেকে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।
টাঙ্গাইল থেকে এসেছেন এক ব্যবসায়ী। তার আত্মীয় জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। তিনি ব্যানার ধরে বলেন, আমার ভাইদের বিচার চাইতে এসেছি। খুনি হাসিনা দেশটাকে বিক্রি করে দিয়ে গেছেন। বিচারের রায় নিয়ে আমরা কোনো গড়ি-মসি দেখতে চাই না। অবশ্যই ফাঁসির আদেশ দিতে হবে।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষা ভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।
আরএএস/এমআইএইচএস