ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সার কারখানায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

সার কারখানায় গ্যাসের দাম ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি দিলীপ রায় ও সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গ্যাসের এই অতিরিক্ত মূল্য বাংলাদেশের কৃষিখাত এবং কৃষকের জীবিকার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সারের দামও বাড়বে, কারণ সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামালই হলো গ্যাস। ফলে সার কারখানার উৎপাদন ব্যয় হঠাৎ করেই আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে এবং এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বাজারদরে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নতুন মূল্যবৃদ্ধির কারণে এক কেজি ইউরিয়ার উৎপাদন খরচ কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, সরকার যদি ভর্তুকি সমন্বয় না করে, তবে এই অতিরিক্ত ব্যয় সরাসরি কৃষকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। কৃষকরা যেখানে স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণের সুযোগ পান না এবং কৃষিপণ্যে ন্যায্য মূল্যেরও নিশ্চয়তা নেই—সে প্রেক্ষাপটে সারের অতিরিক্ত দাম তাদের উৎপাদন খরচ আরও বাড়িয়ে দেবে। এতে অনেক কৃষকই বাধ্য হয়ে চাষাবাদ কমাতে পারেন, যা সামগ্রিক কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইতিমধ্যেই গ্যাস সংকটের কারণে দেশের কয়েকটি সার কারখানা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। কাঁচামালের দাম বাড়লে এই উৎপাদন আরও হ্রাস পেতে পারে, ফলে সারের ঘাটতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সারের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি—উভয় কারণে কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।

বিবৃতিতে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী দেশের কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা, প্রয়োজনীয় ভর্তুকি নিশ্চিত এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।

এমএইচএ/এমএমকে/এমএস