অগ্নিকাণ্ডের দেড় মাস পর শাহজালালে আগুন নেভানোর মহড়া
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘এয়ারপোর্ট মিনি ফায়ার এক্সারসাইজ’ সম্পন্ন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘এয়ারপোর্ট মিনি ফায়ার এক্সারসাইজ’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাওছার মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকের নির্দেশনায় এ মহড়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাপ্রবণ পরিস্থিতিতে সার্বিক অগ্নিনিরাপত্তা, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা, অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর পারস্পরিক সমন্বয় এবং প্রতিক্রিয়া সময় মূল্যায়ন করা।
যদিও এ মহড়ার মাত্র দেড় মাস আগে তথা গত ১৮ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে ছয় ঘণ্টা লেগেছিল। এতে হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
বেবিচকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ এই মহড়া বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। মহড়ায় বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থা: এয়ার পোর্ট ফায়ার সার্ভিস (ফায়ার ভেহিকেল ও অ্যাম্বুলেন্স), এভসেক, বেবিচক ফ্লাইট সেফটি (এজিএ ডিপার্টমেন্ট), এপিবিএন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, এয়ারপোর্ট থানা, ডিরেক্টর ফায়ার, এয়ারপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্সসহ সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ফায়ার ইউনিট (ফায়ার ভেহিকেল ও অ্যাম্বুলেন্স), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ০২ ইউনিট (দিয়াবাড়ি ও উত্তরা), অ্যাম্বুলেন্স (জাহানারা ক্লিনিক, উত্তরা, ওমেনস মেডিকেল কলেজ, উত্তরা, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল) এজেন্সিগুলো অংশগ্রহণ করে।
মহড়াটি ছিল ড্রাই এক্সারসাইজ, যেখানে আগুন প্রজ্বলন না করে শুধু অগ্নিনির্বাপণ প্রতিক্রিয়া, সমন্বয়, যোগাযোগ এবং অপারেশনের গতিশীলতা যাচাই করা হয়। বিশেষভাবে বিমানবন্দরের জেনারেল অ্যাভিয়েশন এলাকাকে মহড়ার স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং নিয়মিত ফ্লাইট অপারেশন স্বাভাবিকভাবেই রেখেই মহড়াটি সম্পন্ন করা হয়।
ঘটনার ধারাবাহিকতায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) টাওয়ারে আগুন সংক্রান্ত কল জানার পরে তাৎক্ষণিকভাবে ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার সক্রিয় করা হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জানানোর পর ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে অগ্নিনির্বাপক গাড়িগুলোর সর্বপ্রকার কার্যকারিতা নিরীক্ষা করা হয়।
মহড়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব অংশগ্রহণকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। নিরাপদ, কার্যকর এবং সমন্বিতভাবে বিমানবন্দর পরিচালনা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের মহড়া অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এমএমএ/ইএ