ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সচিবালয় ভাতার দাবিতে অবরুদ্ধ অর্থ উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

সচিবালয়ে ভাতার দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মচারীরা। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার পর থেকে কর্মচারীরা দলবেঁধে এসে সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলায় অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

তারা সচিবালয়ের ভাতার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন সচিবালয় ভাতার গেজেট জারি করা ছাড়া তারা যাবেন না।

সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে কর্মচারীরা উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

সন্ধ্যা ৫টার দিকে বাদিউল কবির কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ আপনারা এত উত্তাল এবং অশান্ত কেন হয়েছেন, কারণ আছে না? দুদক কী আমাদের চেয়ে শক্তিশালী? দুদকের জিও জারি করেছিল হোয়াটসঅ্যাপে। সচিবালয় ভাতার জিও ছাড়া আমরা এখান থেকে এক কদমও নড়বো না।’

jagonews24

অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করা কর্মচারীরা জানিয়েছেন, জাতীয় আন্দোলনের কেন্দ্র-ঝুঁকির মধ্যেও দায়িত্ব পালন করি আমরা। জাতীয় প্রেসক্লাব-সচিবালয় এলাকা দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ও সরকারি/বেসরকারি পেশাজীবী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। ঘন ঘন সমাবেশ, মিছিল ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে সচিবালয় কর্মীদের প্রতিদিনই বাড়তি ঝুঁকি ও চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়।

তারা বলেন, অতিরিক্ত সময় কাজ করি, কিন্তু কোনো ওভারটাইম নেই। বিকেল ৫টার পরও ৮-৯টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়, কারণ জরুরি ফাইল, নীতি-নির্ধারণ ও সমন্বয়মূলক কাজ থেমে থাকে না। কিন্তু এ অতিরিক্ত শ্রমের জন্য কোনো ওভারটাইম সুবিধা নেই-যা সচিবালয় ভাতার যৌক্তিকতা আরও স্পষ্ট করে।

রাষ্ট্রপতির/প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে টিপ টপ ভাতা এবং অতিরিক্ত কাজের জন্য আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে কাজ করেন। উচ্চ দায়িত্ব, অতিরিক্ত সময়, গোপনীয়তা, ঝুঁকি, বিশেষ ব্যয় এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব-সবকিছু বিবেচনায় ‘সচিবালয় ভাতা’ চালু করা অত্যন্ত যৌক্তিক, স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

jagonews24

অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রাখায় তার দপ্তরে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া ১১ নম্বর ভবনের নিচেও বিপুলসংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।

আরএমএম/এমআইএইচএস