ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নির্বাচনের তফসিল কী, এতে ভোটের তারিখ ছাড়াও যা যা থাকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল কম নয়। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে। গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে একই দিনে। ওইদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদা-কালো। আর গণভোটের ব্যালটের রং হবে গোলাপি।

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ দুটি নির্বাচনের তফসিল আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিইসির ভাষণ রেকর্ড করেছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার।

জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি তফসিল নিয়ে দেশব্যাপী চর্চা চরমে। জনমণে প্রশ্ন তফসিলে কি থাকে। নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যেসব কাজকর্ম জড়িত তার সবকিছুর জন্য একটি সময় বেঁধে দেওয়া হয় তফসিলে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘খুব সহজ ভাষায় এটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের একটি আইনি ঘোষণা।’

প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার মনোনয়নের কাগজ কত তারিখ জমা দেওয়া শুরু করতে পারবেন, মনোনয়নের কাগজ নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে বাছাই করবে, বাছাই প্রক্রিয়ায় যদি সেটি বাতিল হয়ে যায় তাহলে প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে তার সময় বেঁধে দেয় কমিশন। যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনি প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে, কতদিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে—সেটির উল্লেখ থাকে তফসিলে।

সাধারণত প্রার্থীর নির্বাচনি প্রতীক ঘোষণার সঙ্গে প্রচারণা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত থাকে। নির্বাচন কত তারিখ হবে, কোন সময়ে শুরু হবে আর কোন সময় পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে তার বিস্তারিত এবং ভোটের পর ভোট গণনা কীভাবে এবং কোথায় হবে তারও পরিষ্কার উল্লেখ থাকে। এই পুরো বিষয়টির সমষ্টিকেই নির্বাচনের তফসিল বলা হয়।

তফসিলের সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হয়

কিছু বিষয় সংবিধানে একদম নিশ্চিত করে বলা আছে। তাই সেগুলো নিয়ে আদৌ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ারই দরকার হয় না। যেমন, সংবিধানে বলা আছে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে এবারের ভোটের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে সংসদ ভেঙে দেন। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। সুতরাং, সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনে ভোট করার সেই বাধ্যবাধকতা নেই। তাই ৬০ দিন অথবা দুই মাস হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে কমিশন।

দেশে প্রথমবার একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট

প্রায় ৩৪ বছর পর আরেকটি গণভোট হচ্ছে। তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হচ্ছে যা বাংলাদেশে প্রথম।

এমওএস/এমএমকে/জেআইএম