ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অভিবাসনের অভিজ্ঞতাকে ‘বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখার আহ্বান

কূটনৈতিক প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর, মানবিক ও ভবিষ্যৎ চাহিদাসম্পন্ন করতে তরুণদের অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনী শক্তিকে মূলধন বা ‘বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সংলাপ ‘ইয়ুথ অ্যান্ড মাইগ্রেশন: ভয়েস, ভিশন অ্যান্ড অ্যাকশন’-এ বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বের মোট অভিবাসীদের বড় একটি অংশ তরুণ হওয়ায় অভিবাসন শাসনব্যবস্থায় তাদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা এখন সময়ের দাবি।

আলোচকদের মতে, বৈশ্বিকভাবে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন যুবকের দৃষ্টিভঙ্গি অভিবাসন নীতিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও মানবিক করতে পারে। নিরাপদ অভিবাসনের পথ তৈরি, শ্রমবাজার পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সামাজিক সম্প্রীতি গঠনে তরুণদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ- এমন মত উঠে আসে সংলাপে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তায় আয়োজিত সংলাপে সামাজিক সংগঠনের যুবনেতা, নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, জাতিসংঘ সংস্থা এবং উন্নয়ন অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আসন্ন আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ‘মাইগ্রেট স্টোরিজ: কালচারস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ সামনে রেখে আয়োজিত এই সংলাপের মূল লক্ষ্য ছিল অভিবাসন সংক্রান্ত নীতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণদের নিয়ে আসা এবং অ্যাডভোকেসি ও কমিউনিটি নেতৃত্বে তাদের ভূমিকা জোরদার করা।

দুটি প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, অভিবাসন শাসনব্যবস্থায় তরুণদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হলে তাদের উদ্ভাবনী ধারণা, সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, নেতৃত্ব এবং কমিউনিটির অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনতে হবে। নিরাপদ অভিবাসন প্রচার, শ্রমবাজার বোঝাপড়া এবং সামগ্রিকভাবে যুবসমাজের ক্ষমতায়ন জাতীয় উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

সংলাপে অংশ নেন আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান ল্যান্স বোনো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সাদমান সাকিব, বিওয়াইএলসির সিনিয়র ম্যানেজার হাবিবুল্লাহ তামীম, আইএলওর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাহনুমা সালাম খান এবং জাগো ফাউন্ডেশনের রিসোর্স মোবিলাইজেশন অ্যান্ড গ্রান্টস ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার কামরুল কিবরিয়া আয়ন।

আইওএম জানায়, এই সংলাপের মাধ্যমে তরুণদের নিয়ে একাধিক নতুন উদ্যোগের সূচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আসন্ন ‘যুব ও অভিবাসন পরিকল্পনা’ এবং সারাদেশে নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দিতে একটি বড়সড় প্রচারণা। জাতিসংঘের ইয়ুথ-২০৩০ কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সংগঠনটির মতে, এসব কার্যক্রম উদ্ভাবন, সামাজিক সম্প্রীতি ও ন্যায্য অভিবাসন নিশ্চিত করতে তরুণ সম্পৃক্ততার পথ আরও শক্তিশালী করবে। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও জবাবদিহিমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ত করে তুলবে।

জেপিআই/এএমএ/এমএস