ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি: ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি নয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুমতি ছাড়া বদলি না করার জন্য মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এই চিঠি ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ প্রয়োজন। এজন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যথাযথ সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

ইসির চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী, নির্বাচনের কাজে সহায়তা প্রদান করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। নির্বাচনি কর্মকর্তারা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩ নম্বর আইন) অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে, নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কর্মরত থাকবেন। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনি সময়সূচি ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্ব আলোচনা ছাড়া অন্যত্র বদলি করা যাবে না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ তাদের দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে পালন করবেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্ব আলোচনা ছাড়া কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি না দেওয়া এবং নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হবে এমন কাজে নিযুক্ত না করার নির্দেশনা নিশ্চিত করতে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৫ ও ৪৪৩ অনুচ্ছেদের আলোকে আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি।

এমওএস/এমএমকে/জেআইএম