দুই গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা
১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেন নাইম, কেনেন টিভি-ফ্রিজও
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ১৮ ডিসেম্বর হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে/ছবি-জাগো নিউজ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ঢাকায় দুটি গণমাধ্যম ও দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারদের মধ্যে নাইম নামে একজন এক লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেন। লুট করা টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজও কিনেছিলেন তিনি।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আজ এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম। এছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোববার প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এরই মধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৯
এছাড়া চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার অন্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গ্রেফতার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার সাবেক ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
শেরপুর জেলার বাসিন্দা গ্রেফতার রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। তার আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে পোস্ট করা হয়। তিনি ফেসবুকে তার আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্টও করেন।
ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেফতার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেফতার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
এমইউ/এমআরএম/বিএ/এমএস