১০ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি
দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিষয়ে অনুসন্ধান টিম ফের পুনর্গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা বদল হলো আট বার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আগেথেকেই অনুসন্ধান চলছে।
বদলি ও পদায়নজনিত কারণে কমিটির পুনর্গঠন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই কমিটি অনুসন্ধান কার্যক্রম এগিয়ে নেবে, দ্রুত তথ্য সংগ্রহসহ পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেবে।
আকতারুল ইসলাম আরও বলেন, এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে কর্মরত থাকাকালীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দুদকে এসেছে। মূলত অডিট সংক্রান্ত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে।
আরও পড়ুন
কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ফের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ
দেশের সব বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ
দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। এতে আরও রয়েছেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সুবিমল চাকমা ও রোমান উদ্দিন।
দুদক জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সরি, কনস্যুলার প্রধান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিষয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দুদক। যেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৩৮ কর্মকর্তা–কর্মচারীর তথ্য চাওয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব কর্মকর্তার বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা চাওয়া হয়েছিল। ওই কর্মকর্তাদের ২০১৬–১৭ অর্থবছরের আগের কর্মস্থল, দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ও তৎকালীন পদবি, বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা চাওয়া হয় চিঠিতে।
এর আগে ২০১৬ সালে এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনসমূহে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, সচিব ও অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে।
এসএম/কেএসআর