দুদকের নতুন অধ্যাদেশ: জরিমানা দিলেই মাফ পাবেন মামলার আসামি
দুর্নীতি দমন কমিশন/ফাইল ছবি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি বিচারকালে তার অপরাধ স্বীকার করে জরিমানা বা ক্ষতিপূরণ দিলে তার সাজা পূর্ণাঙ্গ বা আংশিক মাফ পাবেন। দুদকের নতুন অধ্যাদেশে এ কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ষান্মাসিক ভিত্তিতে নিজেদের কার্যক্রম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে দুদক। কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন বিষয়ে অগ্রগতিসহ ৯ ধরনের তথ্য প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে হবে।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশটি ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে অভিহিত হবে।
দুদক আইনের ২৮ ধারায় নতুন একটি উপ-ধারা আনা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘২৮ ধারায় নতুন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে। এই আইনের অধীন ও ইহার তফসিলে উল্লিখিত অপরাধসমূহের বিচারকালে কোনো ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করিয়া জরিমানা বা ক্ষতিপূরণ বা উভয়ই প্রদান করিতে সম্মত হইলে স্পেশাল জজ ন্যায়বিচারের স্বার্থে উপযুক্ত মনে করিলে উক্ত ব্যক্তির সাজা পূর্ণাঙ্গ বা আংশিক মার্জনা করিতে পারিবেন।’
অধ্যাদেশের ২৯ এর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, সর্ব সাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে নয় ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। অধ্যাদেশে বলা হয়, কমিশন ষান্মাসিক ভিত্তিতে সর্বসাধারণের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইটে কমিশনের কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। যাতে নিচের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হবে
১. প্রাপ্ত অভিযোগের সংখ্যা এবং যাচাই-বাছাই শেষে প্রাপ্ত অভিযোগের সংখ্যা।
২. কী কারণে কতগুলো অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে বা হয় নাই, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
৩. দুর্নীতির ধরণ ও মাত্রা অনুযায়ী তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমে চলমান বিভিন্ন মামলার সংখ্যা।
৪. চলমান অনুসন্ধানের সংখ্যা ও ধরন।
৫. গণমাধ্যমে প্রকাশিত গুরুতর ও বৃহৎ আকারের দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে কমিশনের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
৬. অর্থ পাচার সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত ও বিচারের অগ্রগতি।
৭. রাষ্ট্রীয় ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহায়তার অবস্থা।
৮. দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য এবং
৯. কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন বিষয়ে অগ্রগতি।
এসএম/এমএমকে/জেআইএম