ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজানের স্বামীর ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

ভুয়া তথ্য দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের মৃত স্বামী অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল করা হয়েছে।

আবু সুফিয়ানের নামে প্রকাশিত সংশোধিত গেজেট বাতিল করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না— তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

এতে বলা হয়, খুলনার দৌলতপুরের অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের নামে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেট প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে তার স্ত্রী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান একটি ডিও লেটার দিয়ে স্বামীর নামের শেষে ‘বীর প্রতীক’ যুক্ত করার আবেদন করেন।

“ডিও লেটারে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক আবু সুফিয়ান ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত হন বলে মিথ্যা তথ্য দেন। পাশাপাশি তিনি যুদ্ধকালীন শরণার্থীদের দুর্দশার সংবাদ সংগ্রহ করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে কথিকা হিসেবে পাঠ করতেন— এমন তথ্যও উল্লেখ করা হয়। ওই ডিও লেটারের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের ১৫ জুন বেসামরিক গেজেট সংশোধন করে তার নামের শেষে ‘বীর প্রতীক’ যুক্ত করে।”

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আরও জানায়, সম্প্রতি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ১০২তম সভায় আলোচনা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়— ২০২৩ সালের ১৫ জুন জারি করা সংশোধিত প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হবে এবং অধ্যাপক আবু সুফিয়ান প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না, তা যাচাইয়ের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৯৭৩ সালে ৪৭৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চারটি রাষ্ট্রীয় খেতাব—বীর শ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে। ওই তালিকায় অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের নাম নেই। পরবর্তী সময়ে নতুন করে কাউকে এসব খেতাব দেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নামের শেষে ‘বীর প্রতীক’ যুক্ত হওয়ায় যে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল, সংশোধিত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তার অবসান ঘটানো হলো বলেও জানিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।

আরএমএম/এমএএইচ/এএসএম