ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ই-সিগারেট ও ভেপ নিষিদ্ধ, অধ্যাদেশ জারি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

ই-সিগারেট, ভেপসহ ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট সম্পূর্ণ এবং কুম্ভি পাতা ও টেন্ডু পাতায় মোড়ানো বিড়িকে নিষিদ্ধ করে ‌‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে তামাক, তামাকজাত দ্রব্য, নিকোটিন ও নিকোটিন দ্রব্যের সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার তামাকজাত দ্রব্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ই-সিগারেট, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট, নিকোটিন পাউচসহ সরকার ঘোষিত অন্যান্য নিকোটিন পণ্য।

কুম্ভি পাতা ও টেন্ডু পাতায় মোড়ানো বিড়িকেও আলাদা করে সংজ্ঞায় এনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, উহার যন্ত্রাংশ বা অংশ বিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করবেন না বা করাবেন না।

এ বিধান লঙ্ঘন করলে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। দ্বিতীয়বার বা বারবার একই ধরনের অপরাধ করলে তিনি পর্যায়ক্রমে এ দণ্ডের দ্বিগুণ হারে দণ্ডনীয় হবেন।

যদি কোনো কোম্পানি এই অপরাধ করে তাহলে ওই কোম্পানির সংশ্লিষ্ট মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ জরিমানা দেবেন। একইসঙ্গে এ কোম্পানির তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করা যাবে।

কোনো ব্যক্তি ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশ বিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

অন্যদিকে কোনো ব্যক্তি কুম্ভি পাতা, টেন্ডু পাতা বা অন্য কোনো গাছের পাতা দ্বারা মোড়ানো বিড়ি উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিপণন, বিতরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় করলে তিন মাসের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

কোম্পানি এ অপরাধ করলে লাইসেন্স বাতিল, আর্থিক লেনদেন স্থগিত বা জব্দসহ আর্থিক জরিমানা আরোপ করা যাবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া কোনো ব্যক্তি কুম্ভি পাতা, টেন্ডু পাতা বা অন্য কোনো গাছের পাতা দিয়ে মোড়ানো বিড়ি ব্যবহার করলে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

আরএমএম/জেএইচ/এএসএম