ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চাষী নজরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

দেশের অন্যতম নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বাদ আসর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার সমষপুর গ্রামে মরহুমের বাবা মোসলেম উদ্দিন ও মাতা শায়েস্তা খানের কবরের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে সর্বশেষ জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সোমবার বিকাল ৩টা ১০ মিনিটের সময় সমষপুর গ্রামের নিজবাড়িতে মরহুমের লাশ পৌছালে গ্রামবাসীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়। পরে বাদ আছর তাঁর বাড়ির পাশের সমষপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল মাঠে শেষ নামাজের জানাজায় সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

গুণী এই পরিচালকের মরদেহ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এফডিসি প্রাঙ্গণে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের উপস্থিতিতে চাষী নজরুল ইসলামের প্রতি শেষ বিদায় ও শ্রদ্ধা জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যতিমান চিত্রনায়ক রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, চিত্রনায়িকা ববিতা, সুচন্দা, কবরী,চম্পাসহ আরো অনেক চলচ্চিত্র শিল্লী ও কলাকুশলীবৃন্দ। এখানে তাকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

জাতীয় চলচ্চিত্র ও একুশে পদক প্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের অন্তিম ইচ্ছানুযায়ী মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার নিজ গ্রাম সমষপুরের পারিবারিক কবরে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ চলচ্চিত্রের অমর সৃষ্টি “ওরা এগার জন” নির্মাতা চাষী নজরুলের গাড়িটি ছিল ফুল দিয়ে মোড়ানো শোকাহত গ্রামবাসী তাকে শেষ বিদায় জানান। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ পরিচালনা করেন ১৯৭২ সালে। ছবিটি ব্যাপক প্রশংসা পায়। এরপর ‘সংগ্রাম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বাজিমাত’, ‘বেহুলা লক্ষিন্দর’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘হাসন রাজা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘শাস্তি’ ও ‘সুভা’র মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি।

১৯৮২ সালে বুলবুল-কবরী-আনোয়ারাকে নিয়ে ‘দেবদাস’ নির্মাণ করেছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিয়োগান্ত এই কাহিনী নিয়ে ২০১৩ সালে আবার শাকিব খান-অপু বিশ্বাস-মৌসুমীকে নিয়ে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্রটি। ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’, ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০০৪ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

গত ১১ জানুয়ারি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাষী নজরুল ইসলাম মারা যান।

আরএস