‘কান্নায় ভেঙে পড়েন মীর কাসেম’
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে শনিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎকালে মীর কাসেম আলী কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানান তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।
স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মীর কাসেম স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন জানান, ওঁনার মনে অনেক দুঃখ রয়ে গেল যেটা ‘উনি কোন কিছু নিয়েই কোন কষ্ট পান নি, কিন্তু ছেলের ব্যাপারটা নিয়ে উনি কেঁদে দিয়েছেন।’
‘উনি বলেছেন ছেলে ফার্স্ট টু লাস্ট মামলার সমস্ত কাজ করেছে, কিন্তু শেষ মুহূর্ত সে তার বাবাকেও দেখতে পারল না, শেষ রিভিউটাও করতে পারল না- এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।’
মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুনসহ পরিবার, আত্নীয় স্বজন মিলি বিশ-বাইশজন সদস্য কারাগারের ভেতর মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন শনিবার বিকেলে।
সাক্ষাৎ শেষে কারা কর্তৃপক্ষ মীর কাসেম আলীর ফাঁসি শনিবার রাতেই কার্যকর করা হবে বলে সাক্ষাৎকারীদের জানিয়ে দেন।
যে অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেই অপরাধ সম্পর্কে মীর কাসেম আলী শেষ মুহূর্তে কী বলেছেন জানতে চাইলে খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, ‘এ সম্পর্কে নতুন করে তিনি কিছু বলেন নি।’
মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ব্যাপারে তার মতামত জানানোর আগে নিখোঁজ ছেলের মুক্তির যে শর্ত দিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গে খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, ‘সময় থাকার দুদিন আগে ওনার ওপর চাপ প্রয়োগ করার পরে উনি বলে দিয়েছেন আমি ক্ষমা চাইব না। সময় থাকার পরও উনি সরে এসেছেন। উনি সরে না আসলে লোকে ভাববে তিনি একটা উছিলা দিয়ে হয়ত সময় ক্ষেপণ করতে চাইছেন। এই কথা ভেবেই উনি সরে আসছেন।’
মীর কাসেম আলী তার নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজে ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বলে জানান তার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ ছেলের ব্যাপার নিয়ে আমরা খুবই উদ্বেগে আছি।’
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কার্যকর করা হয়। তার সঙ্গে কারাগারে শেষ সাক্ষাত করার পর তার স্ত্রী আয়েশা খাতুন বলেছেন কারা কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছেন শনিবারই মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
এফএইচ/এআরএস