ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কোরিয়ান কূটনীতিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত: ০৫:৩৭ এএম, ০৮ মার্চ ২০১৫

ঢাকায় নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ান কূটনীতিক স্বর্ণ চোরাচালানে হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে কূটনৈতিক পল্লীতে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। সঙ্গে বাংলাদেশ ও উত্তর কোরিয়ার ইমেজও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে পররাষ্ট্র দফতরের তরফে অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া বা বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানানোর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনাটি পর্যালোচনা হয়নি দাবি করে শনিবার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটে না। আমরা একটু সময় নিচ্ছি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য। আশা করি রোববার এ নিয়ে কিছু বলা যাবে।’

অভিযুক্তকে বহিষ্কার করা হবে, নাকি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হবে, জানতে চাইলে অপর এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, পুরো বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন, বিধিবিধান ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেভা সফর শেষে আজই ঢাকা ফিরছেন জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনি এলেই সরকারের অ্যাকশনের বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

হাতেনাতে আটকের দিনই কোরিয়ান কূটনীতিককে পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসের জিম্মায় ছেড়েছে শুল্ক গোয়েন্দা পুলিশ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

‘গুরুতর অপরাধে কূটনীতিকের দায়মুক্তি’ ভিয়েনা কনভেনশনের বিধান বলে উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল) সন ইয়াং ন্যাম (৫০)-কে কারাগারে না পাঠিয়ে দূতাবাসে পাঠানো হলেও তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। তার কাছ থেকে অপরাধের স্বীকারোক্তিমূলক মুচলেকাও আদায় করা হয়েছে।

বর্তমানে কড়া নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। কেবল আটক কূটনীতিকই নন, তাকে ছাড়িয়ে নিতে দূতাবাসের যেসব কর্মকর্তা রাতভর দেনদরবার করেছিলেন, তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। স্বর্ণ চোরাচালানে একজন না-কি একাধিক কূটনীতিক জড়িত, তা খতিয়ে দেয়া হচ্ছে।

বিএ/এমএস