ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তরুণ প্রজন্মের পথ প্রদর্শক ড. ওয়াজেদ

প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নির্লোভ, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও বিশ্ববরেণ্য শিক্ষানুরাগী। বিশ্বব্যাপী সুনামের অধিকারী এ পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন মানবতাবাদী। অসাম্প্রদায়িক দেশে তিনি হতে পারেন তরুণ প্রজন্মের পথ নির্দেশক ও অনুসরণীয়।

তিনি নেই তবুও সব সময় আমাদের মাঝে বিরাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ইতিহাস, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিকৃতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ড. এম এ.ওয়াজেদ মিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সাধনা সংসদ ফাউন্ডেশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে আলোচনা ছাড়াও ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই নিউজ অ্যাওয়ার্ড এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পরমাণুশক্তি কমিশনে চাকরি করতেন ওয়াজেদ মিয়া। দেখেছি তিনি কতটা পেশার ও গবেষণার প্রতি অনুরাগী ছিলেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে দলমত নির্বিশেষে সব ধরনের পরমাণু বিষয়ক কর্মে, গবেষণার ক্ষেত্রে তার ডাক ছিল অনিবার্য। সত্য কথাটি তিনি অকপটে বলতেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সময় শেখ হাসিনাসহ জার্মানিতে ছিলেন ওয়াজেদ মিয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি অসম্ভব স্নেহ দিয়ে শেখ হাসিনা ও রেহানাকে আগলে রেখেছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, আমি ছিলাম জুনিয়র ফ্রেন্ড। তার লেখা বইতে আমার ব্যাপারে লেখালেখি করেছেন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান জাহানারা ইমামের সময় আমি ছিলাম সদস্য সচিব। আমার এগিয়ে চলার পথে প্রধান সাহায্যকারী ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, খাওয়া-নাওয়া ছাড়া ছাত্রলীগ করেছেন ওয়াজেদ মিয়া। অথচ পরীক্ষায় ফার্স্টক্লাশ ফার্স্ট হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বামী হিসেবেই শুধু নয়, যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যা ইচ্ছা তাই সুবিধা নিতে পারতেন। কিন্তু নির্লোভ মানুষটি তা না করে নীরবে শুধু দিয়েই গেছেন।

স্বাগত বক্তব্যে সাধনা সংসদ ফাউন্ডেশন নির্বাহী সভাপতি আলী নিয়ামত বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এসময় পাবনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নাম ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাসির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশ।
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন কবি আসলাম সানী, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।

জেইউ/এএইচ/জেআইএম