ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ব্রিফকেসের জন্য খুন হন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ১৪ জুন ২০১৭

একটি ব্রিফকেস। তেমন কোনো স্বর্ণ-কিংবা টাকা পয়সা ছিল না এই ব্রিফকেসে। পুলিশ বলছে এই ব্রিফকেসের জন্যই প্রাণ দিতে হলো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে। কেন? কী ছিল এই ব্রিফকেসে। যার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে।

সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের কাছ থেকে। পরিবার বলছে, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া আসল ও নকল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ছিল এই ব্রিফকেসে।

গত ১ জুন ভোরে ছিনতাইকারীরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে কুপিয়ে হত্যা করে এই ব্রিফকেসটি নিয়ে গেছে।

এই ব্রিফকেসের জন্যই মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ গেছে তা বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানালেন ওয়ারী বিভাগের পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ উদ্দিন।

জানা গেছে, গত ১ জুন ভোরে একটি ব্রিফকেস নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে যাওয়ার জন্য রিকশায় করে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম। পথে ধলপুরের ব্রাহ্মণ-কিরণ এলাকায় পৌঁছলে রিকশা থামিয়ে চার থেকে পাঁচজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতালি কুপিয়ে হত্যা করে এবং ব্রিফকেসটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আজ সংবাদ সম্মেলনে ডিসি জানান, মামলাটি দায়েরের পর এর তদন্ত শুরু করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বরপা নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. রানা বেপারী ও পরশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত অপর আসামি মাসুদুর রহমান ওরফে শান্তকে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার বিবির বাগিচা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও দুইজন ফরহাদুল ইসলাম ওরফে সিহাব ও ফয়সাল ইসলাম মোমেনকে গ্রেফতার করা হয়।

এআর/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন