জমিসহ বাড়ি পাচ্ছেন বিধবা পল্লীর বিধবারা
সরকারি জমিসহ বাড়ি পাচ্ছে শেরপুরের সোহাগপুরের ‘বিধবা পল্লী’র ৩০ শহীদ পরিবার। ইতোমধ্যে ১০টি বাড়ি নির্মাণের দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকি ২০টি বাড়ির কাজও শিগগিরই শুরু হবে।
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সকাল ৭টায় সোহাগপুরে পাক হানাদার বাহিনী প্রায় দু’শ নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। নির্যাতন আর নিপীড়নের শিকার হন নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষ। ওই সময়ে সোহাগপুরের অধিকাংশ পুরুষ পাকহানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন, ফলে গ্রামটি প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে যায়। এর পর থেকেই গ্রামটির নাম হয় ‘বিধবা পল্লী’।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকারকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে ৩০ জন শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিধবাকে এই বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। শিগগিরই এসব বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সোহাগপুর গ্রামে যারা পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন এবং যে সব নারী বিধবা হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন ও যথাযথ মর্যাদা দেয়া হবে।
১৯৭১ সালে যুদ্ধ পরর্বতী সময় ওই ঘটনা জেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নগদ অর্থ সাহায্য করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এবার তাদের বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন।
ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযেদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ২ হাজার ৯৭১টি বাড়ি নির্মাণ কাজ চলছে। এরমধ্যে ৭১টি বাড়ি হবে বীরঙ্গণাদের জন্য। তারই অংশ হিসেবে শেরপুরের সোহাগপুরের বিধবা পল্লীতে ৩০টি বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে।
বর্তমানে সারাদেশে ১৮৫ জন বীরঙ্গণা রয়েছেন এবং আরও ১৫ জনকে বীরঙ্গণা খেতাব দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম পর্যায়ে সোহাগপুর গ্রামের ২০ জন বিধবাকে সরকারি জমিতে ২০টি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।-বাসস
আরএস/আইআই