আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস
ফাইল ছবি
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শিশু শ্রমকে না বলুন, মানসম্মত শিক্ষাকে হ্যাঁ বলুন’। ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ জুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালন করা হয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র এক তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে শিশু শ্রমিকরা প্রায় ৩৪৭ ধরণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ৪৭ ধরণের কাজকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে ব্যাটারিসহ বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক কারখানায় শিশুশ্রম, ট্যানারি শিল্প, যৌনকর্ম, বিড়ি ও তামাক ফ্যাক্টরি, পরিবহন খাত, ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করা, গ্যাস ফ্যাক্টরি, লেদ মেশিন ও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ, অটোমোবাইল কারখানা, লবণ কারখানা, রিকশা ও ভ্যানচালনা, কাঠমিস্ত্রির কাজ, জুয়েলারি শিল্পে কারিগরের কাজ, চাল ও মসলার কারখানায় কাজ, ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার কাজ, মাদকদ্রব্য বিক্রি।
এসব কাজে নিয়োজিতদের অধিকাংশই পথশিশু। শুধুমাত্র একবেলা খাবার যোগাড় করতে এ পথশিশুরা দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে। পথশিশুদের ৬৯ শতাংশই কোন না কোন শিশুশ্রমে নিয়োজিত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পারিবারিক ও আর্থ-সামাজিক কারণে ৬ থেকে ৭ বছর বয়সেই বাংলাদেশের শিশুরা জীবন ধারণের জন্য শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৩৫ লক্ষ শিশু শ্রমিকদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে ১৩ লক্ষ শিশু, যা মোট শিশু শ্রমিকের ৪১ শতাংশ।
এআরএস/এমএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ বজ্রপাতে ১৫ বছরে দুই হাজার মৃত্যু, সতর্কতা ও প্রস্তুতি এখনো সীমিত
- ২ অতি দ্রুত যৌথ অভিযান শুরু হবে, মেসেজ ক্লিয়ার: ইসি সানাউল্লাহ
- ৩ দেশে ২৮.৬ শতাংশ স্কুলে ৫০ শিক্ষার্থীর জন্য একটি উন্নত টয়লেট
- ৪ নির্বাচনে দেশীয় পর্যবেক্ষকদের আবেদনের সময় বাড়লো
- ৫ পল্টনে ফুটপাতে অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন এক ব্যক্তি, ঢামেকে মৃত্যু