ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২০ বছর

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:০২ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৭

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২০তম বাষির্কী আজ শনিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা ওরফে সন্তু লার্মা।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে পার্বত্য জেলাসমূহের সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার এবং মাতৃভূমির উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি মনে করি এই চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। শান্তি চুক্তির দুই দশকে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণের জন্য পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেন এবং সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

বাণীতে তিনি পাবর্ত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের উল্লেখ করে বলেন, এটি দীর্ঘদিনের সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জেলা ও সারাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই ঐতিহাসিক এই পাবর্ত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। এই চুক্তি পাবর্ত্য অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়েছে। সেখানে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি বলেন, ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির প্রতি একটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫’পরবর্তী সরকারগুলো সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবর্তে তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় বাঙালি ও পাহাড়ি জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেন, হত্যা নির্যাতন ও অবিচার, ভূমি ও সম্পদ গ্রাস এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এ অঞ্চলের পরিস্থিতির অস্থিতিশীল করে তুলেছিল।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকার এই ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করে এবং পাবর্ত্য অঞ্চলে পুনরায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

এআরএস/এমএস