ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঈদে সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সরকারি হাসপাতালে বিশেষ ডিউটি রোস্টার

প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৫

আসন্ন ঈদের ছু্টিতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনার জন্য চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ ডিউটি রোস্টার তৈরি করছে হাসপাতাল প্রশাসন।

প্রতি বছরের মতো এবারো মুসলমান সহকর্মীদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপনের সুযোগ করে দিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই ঈদের সময় দায়িত্ব পালন করবেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা অনকলে ডিউটিতে থাকবেন। জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে।

হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঈদের দিনসহ ছুটির দিনগুলোতে পালা করে হাসপাতালের সামগ্রিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন ও মনিটরিং করবেন। একাধিক সরকারি হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম রোববার রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে বলেছেন, ঈদের ছুটিতে রোগীদের সেবা নিয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। এক্ষেত্রে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে রোগী সেবার দুর্বিসহ চিত্র দেখা যায়। চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যান। এতে করে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত হন। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। এসব থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নাজিমুন নেসা রোববার বিকেলে জাগো নিউজকে জানান, ইতিমধ্যেই তারা বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক, নার্স ইনচার্জ ও ওয়ার্ড মাস্টারদের সঙ্গে আলোচনা করে ঈদের ছুটিকালীন বিশেষ ডিউটি রোস্টার তৈরি করেছেন।

বর্তমানে ২৩শ’ শয্যার ঢামেক হাসপাতালে নিয়মিতসহ মোট দেড় সহস্রধিক চিকিৎসক, আট শতাধিক নার্স ও সহস্রাধিক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন। ঈদের ছুটিতে সরকারি অন্যান্য হাসপাতালে রোগীর ভিড় তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও ঢামেক হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে।

ডা. নাজিমুন নেসা জানান, রমজান মাসে হিন্দুধর্মাবলম্বীরাই প্রধানত হাসপাতালে ডিউটি পালন করে। মুসলমান চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ ঈদুল ফিতর ও আরেকটি অংশ ঈদুল আজহার ছুটিতে যাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। সে অনুযায়ী ডিউটি রোস্টার ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জানান, ঈদের ছুটিতে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে কোনো ধরনের ব্যাঘাত যেন না ঘটে সে জন্য বিশেষ রোস্টার তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ঈদের সময়ে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে। এ সময় এক শ্রেণির তরুণ-তরুণী প্রতিযোগিতা দিয়ে দ্রুত বেগে মোটরসাইকেল ও মোটরকার চালিয়ে অ্যাক্সিডেন্ট করে। তারা ছাড়াও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন মহাসড়কে বাসসহ বিভিন্ন পরিবহন দুর্ঘটনা ঘটে। তাই পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ঈদ-পূজাতেই নয় সারাবছরই চিকিৎসকরা তৎপর থাকেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৮ বা ১৯ আগস্ট ঈদুল ফিতর হওয়ার কথা রয়েছে।

এমইউ/বিএ/আরআইপি