‘নির্বাচনে বেআইনি ও পক্ষপাত করলে ম্যাজিস্ট্রেটরাও ছাড় পাবেন না’
ফাইল ছবি
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট বেআইনি বা ইচ্ছেকৃতভাবে কোনো কাজ করলে তিনিও ছাড় পাবেন না বলে সতর্ক দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। সোমবার সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদের বেআইনি কাজ, নির্লিপ্ততা অনাগ্রহ অনীহা নির্বাচন কমিশন থেকে ক্লোজলি মনিটর করা হবে। কোনোভাবে যদি পরিলক্ষিত হয় যে, আপনারা ইচ্ছেকৃতভাবে কোনো কিছু করেছেন তাহলে কেউ ছাড় পাবেন না। এটা আগেই বলছি এ কারণে যে, যাতে করে পরবর্তীতে কেউ যেন বলতে না পারেন এটা তো জানতেন না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালে দায়িত্বপালনে ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশন বিব্রত হবে। আমরা তা চাই না। দেশ ও জাতির জন্য আইন ও ম্যাজিস্ট্রেটদের জুডিশিয়াল মাইন্ড প্রয়োগ করে দায়িত্ব পালন করবেন। তবেই গ্রহণযোগ্য ও আইনানুগ নির্বাচন সম্ভব। যদিও আমরা জানি এটা আপনাদের জন্য খুব টাফ সিচ্যুয়েশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আপনাদের (ম্যাজিস্ট্রেট) বিভিন্নভাবে আক্রান্ত করার চেষ্টা চলবে। অমুক দল বলবে অমুক দল বাধা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। যে পরিস্থিতির মধ্যেই কাজ করেন না কেন আইন সমুন্নত রেখে দায়িত্ব পালন করলে কোনো সমস্যা হবে না। এ জন্য কমিশন আইনানুগ সহযোগিতা করবে, পেছনে থাকবে। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আচরণ বিধির কোথাও লেখা নেই, মন্ত্রী সাহেবেরা মন্ত্রী থেকেই নির্বাচন করছেন। মন্ত্রী থেকেই তিনি কি লিখতে পারবেন রেলমন্ত্রীকে ভোট দেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা মার্কায় ভোট দেন। আমরা পোস্টারের সাইজ বলে দিয়েছি। পোস্টার কেমন হবে তাও বলে দিয়েছি। কিন্তু এটা তো বলিনি যে, এমন কনটেন্ট লিখতে পারবেন কিনা না! এমন অবস্থাতে আপনাদের (ম্যাজিস্ট্রেট) জুডিশিয়াল মাইন্ড এপ্লাই করতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সহায়ক হিসেবে কাজ করবেন। পাশাপাশি আচরণ বিধিটা প্রয়োগ করবেন। লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা দেখবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আচরণ বিধিতে স্পষ্ট রয়েছে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না। নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, নির্বাচনী প্রচার। ৬ থেকে ১৪ পর্যন্ত আচরণ বিধিতে স্পষ্ট।
আপনারা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখবেন। সমআচরণ বিধির মাধ্যমে সমসুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। যদি আপনারা এটা নিশ্চিত করতে না পারেন সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না - বলে তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।
জেইউ/আরএস/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করবে ক্যাব ও বিএসএএফই
- ২ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় নারী উদ্যোক্তাদের অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন
- ৩ টেকনাফে সন্ত্রাসী ‘লম্বা মিজান’র বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
- ৪ রাজধানীতে ছাদবাগানে পানি দেওয়ার সময় নিচে পড়ে বৃদ্ধা নিহত
- ৫ দেশের উন্নয়নে মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে: মেয়র শাহাদাত