ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সময় শেষ, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি অনেকেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক প্রার্থীই তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।

এ বিষয়ে সেগুনবাগিচায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম বলেন, যারা এখনও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের নামে দলের মনোনয়নের কোনো চিঠি পাওয়া না গেলে অটোমেটিক্যালি প্রত্যাহার হয়ে যাবে।

ঢাকা-৬ থেকে ২০ আসনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দফতর ছিল এটি। এই ১৫টি আসনে নির্বাচনের জন্য ১৭১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে মাত্র ২৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

কে এম আলী আজম বলেন, ১৫ আসনে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আমরা মোট ২৮টি দলীয় চিঠি পেয়েছি।

আসনগুলোতে মনোনয়ন প্রত্যাহারকারীদের তালিকায় রয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের বিকল্প ধারার প্রার্থী মাহী বি চৌধুরী, ঢাকা-৭ আসনে হাজী আবুল হাসনাত, ঢাকা-১২ আসনের ২০ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রার্থী মজিবুর রহমান, ঢাকা-১৭ আসনের জেএসডির প্রার্থী নজরুল ইসলাম, ঢাকা-৬ আসনের জাসদ প্রার্থী কাজী সালমা সুলতানা, ঢাকা-৭ আসনে নৌকার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ মোট ২৩ জন।

এছাড়াও প্রতীক বরাদ্দের জন্য বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের (ধানের শীষ) আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা-১৬ আসনে (কোদাল) বাসদ-মার্ক্সবাদীর প্রার্থী নাঈমা খালেদ মনিকা, ঢাকা-৬ আসনে সুব্রত চৌধুরী (ধানের শীষ), ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (লাঙল), ঢাকা-১৪ এসএ সিদ্দিক সাজু (ধানের শীষ), ঢাকা-১৭ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ (লাঙল) মোট ২৮ প্রার্থী।

গত ২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪৯৮টি মনোনয়নপত্র।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক বাতিল হওয়া ২৪৩ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার প্রার্থিতা ফেরত পাননি। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তিন আসনেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন তিনি। সে রিটের শুনানি কাল হবে।

সোমবার সকালে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোট।

এআর/জেএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন