রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধসহ সুন্দরবন রক্ষায় ৫ দাবি
অবিলম্বে সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়েছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি।
কমিটি বলছে, বিশ্বব্যাপী অধিক তাপমাত্রা, বরফ গলা, ঝড়, বন্যার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের মহাসচিব বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘জলবায়ু জরুরি অবস্থা' বলে অভিহিত করেছেন। সারা বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মহাসংকট নিয়ে ব্যস্ত তখন খোঁড়া যুক্তির ভিত্তিতে দেশে তথাকথিত বিদ্যুৎ ঘাটতি নিরসনের নামে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে চলেছে। অথচ কয়লা হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জ্বালানি, আর ভালো কয়লা একটি নিকৃষ্ট মিথ্যাচার।
‘ইউনেস্কোর ৪৩তম সভার সব সুপারিশ বাস্তবায়ন, সুন্দরবনের পাশে রামপালসহ সব শিল্প নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধ ও পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা সম্পন্নের’ দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলসহ মোট পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ডিআরইউর সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও দাবি উত্থাপন করেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
দাবিগুলো হচ্ছে:
১. অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ও দেশের সমুদ্র উপকূলজুড়ে পরিকল্পিত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের মাধ্যমে বিকল্প জ্বালানির পরিকল্পনা গ্রহণ।
২. সুন্দরবনের বাফার জোন, কোর জোন ও বনের নিকটবর্তী সব কল-কারখানা এবং এলপিজি কারখানা বন্ধ।
৩. লাল ক্যাটাগরির শিল্পকে কলমের খোঁচায় সবুজকরণের অবৈজ্ঞানিক, অসৎ ও বেআইনি কাজ বন্ধ।
৪. ইউনেস্কোর সব নির্দেশনার পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত এবং
৫. সমগ্র দক্ষিণ পশ্চিম বাংলাদেশের কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষার কার্যসীমা নির্ধারণ এবং সমীক্ষার সব স্তরে নৈতিক ও বৈজ্ঞানিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বনিন্দিত কয়লার ভাগাড়। উন্নয়ন বা বিদ্যুতের জন্য কয়লা এমনকি কোনো জীবাশ্ম জ্বালানিরই প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্র পরিচালকদের মন পরিষ্কার থাকলেই বিকল্প জ্বালানি চোখে পড়বে। ইচ্ছা করলেই সুন্দরবনসহ সারা দেশের অন্য বনরাজি, নদী, উপকূল, জলাশয়, বাতাস সব কিছুকে বাঁচিয়েই উন্নয়নের পথে এগুতে পারি। দেশ হতে পারে অনিন্দ্য প্রকৃতির মধ্যে এক উন্নয়নের মডেল। সরকার এ মডেল গ্রহণ করলে সুন্দরবনসহ সব বন ও পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজে আমরা সরকারের পাশে থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিন এবং ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল।
জেইউ/এএইচ/এমকেএইচ
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
- ২ বাড্ডায় ‘লং মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
- ৩ লালবাগে প্লাস্টিকের গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
- ৪ ‘লাগেজ চুরি’ ঠেকাতে কর্মীদের বডি ওর্ন ক্যামেরা দিলো বিমান
- ৫ ৩১৮৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা