ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘পোষা পাখি’ আইন কার্যকর না করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০

খাঁচায় জন্ম নেয়া বিদেশি পাখির ওপর ‘পোষা পাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২০’ কার্যকর না করার দাবি জানিয়েছে এক্সোটিক বার্ড ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন, এভিয়ান কমিউনিটি, এভিকালচার সোসাইটি অব বাংলাদেশ নামে তিনটি সংগঠন।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এভিয়ান কমিউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ২০১২’ এর অতিরিক্ত অংশ হিসেবে গেজেট হওয়া ‘পোষা পাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২০’ পাখি খাঁচায় লালন-পালন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হওয়া উচিত। কিন্তু আইনের বিধিমালাটি খাঁচায় জন্ম নেয়া বৈধ বিদেশি পাখির ওপর প্রয়োগের বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাই।

jagonews24

তিনি বলেন, ‘বন অধিদফতর তাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে বৈধ বিদেশি পোষা পাখির স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রধান সৌখিন পোষা পাখি পালনকারী ও প্রজননকারীদের সরকার রেজিস্টার্ড সংগঠনগুলোকে না জানিয়ে গোপনে একটি বিবর্জিত বিধিমালা পাস করিয়ে নেয়। যা মূল আইন ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ২০১২’ এর অতিরিক্ত হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে বন্যপাখি যেমন-সবুজ টিয়া, চন্দনা টিয়া, ময়না, তিলা ঘুঘু, মনিয়া, দোয়েল, শালিক ইত্যাদি ধরনের পাখি লালন-পালন অবৈধ। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাখি পালনে যে বিধিমালা করা হয়েছে, তার চেয়ে আরও কঠোর বিধিমালাকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে খাঁচায় জন্ম নেয়া আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও শুল্ক পরিশোধ করে আমদানিকৃত বৈধ খাঁচার পোষা পাখি লালন-পালন ও প্রজনন করানো সম্পূর্ণরূপে বৈধ।

তারা বলেন, বিভিন্ন প্রজাতির পোষা পাখি বিভিন্ন মূল্যমানের হলেও বাংলাদেশের পাখি পালকরা গড়ে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা মূল্যের পাখি পালন করে থাকে। সেখানে দশটির অধিক পাখি পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা লাইসেন্স ফি, প্রতি পাখির জন্য ২০০০ টাকা পজিশন ফি, পাখির জন্মমৃত্যু নিবন্ধন, ব্যয়বহুল পাখির রিং, অস্বাভাবিক খাঁচার মাপ, পদে পদে অজামিনযোগ্য জেল-জরিমানা এবং আমদানির চেয়ে রফতানি মূল্য বেশি ইত্যাদির মাধ্যমে বন মন্ত্রণালয় এমন একটি বিধিমালা প্রণয়ন করেছে, যা একজনের পক্ষে সৌখিন পাখি পালন সম্ভব নয়। তাই খাঁচায় জন্ম নেয়া পাখির ক্ষেত্রে এ বিধিমালা কার্যকর না করার জন্য আমরা দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে এক্সোটিক বার্ডস ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাজেদুল হক, এভিকালচারাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আমজাদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএস/এসআর/এমকেএইচ