ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পুরোনো কারাগার প্রকল্পে অগ্রগতি নেই, ব্যাখ্যা চেয়ে পিডিকে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ০৭ জুন ২০২০

রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে আগের কেন্দ্রীয় কারাগারের স্থানে জাদুঘর তৈরি ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ‘পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

কিন্তু এ প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, অর্থবছর শেষ হতে চললেও ব্যয় হয়েছে মাত্র সাড়ে ১৭ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের ধীরগতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে। তাই ধীরগতির ব্যাখ্যা চেয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ও যুগ্ম-সচিব আতাউর রহমানের কাছে সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ জুনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে ‘পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুকূলে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে গত মে পর্যন্ত মাত্র ১৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়, যা বরাদ্দ করা অর্থের মাত্র ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বছরের শুরুতেই প্রকল্প পরিচালক মন্ত্রণালয়ে কর্মপরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা দাখিল করেন এবং ওই পরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার নির্দেশনা দেয়া হয়।

‘এছাড়া আরএডিপি প্রণয়নের সময় প্রকল্প পরিচালকদের বারবার ব্যয় কমানো বা বাড়ানোর সুযোগ দেয়া হয় এবং প্রকল্প সংক্রান্ত প্রতিটি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার জন্য অনুরোধ করা হলেও ‘পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন’ প্রকল্পের অগ্রগতি জাতীয় অগ্রগতির কম হয়, যার প্রভাব মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অগ্রগতিতে পড়েছে’ বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এ অবস্থায় সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ করা অর্থের ব্যয় জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে কম হওয়ার কারণ আগামী ১০ জুনের মধ্যে পিডিকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয় চিঠিতে।

সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কারাগার নাজিম উদ্দিন রোড থেকে কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তরিত হওয়ার পর কারাগারের প্রায় ৩৬ দশমিক ২১ একর এলাকায় একটি প্রকল্প হাতে নেয় হয়। প্রকল্পের আওতায় কারাগারটিতে থাকছে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার কারা স্মৃতি জাদুঘর। করা হবে বিশাল পার্ক। সবার জন্য এ পার্ক উন্মুক্ত থাকবে। বাকি জায়গায় হবে কারা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কনভেনশন সেন্টার। কিছু কারা সদস্যের জন্য থাকবে আবাসস্থলের ব্যবস্থাও। করা হবে ডিজিটাল মঞ্চ, সুইমিংপুল থেকে সিনেপ্লেক্স। এমনকি থাকবে অ্যাকুস্টিক সাউন্ড সিস্টেম ও ফুডকোর্ট। কারাগারের যে কক্ষগুলোতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে রাখা হয়েছিল, সেই কক্ষগুলো সংরক্ষিত থাকবে।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন কারা অধিদফতর। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬০০ কোটি টাকার মতো। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

আরএমএম/এএইচ/পিআর